Wednesday, July 13, 2016

বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত প্রবাদসমূহ

প্রবাদ
সংগ্রহ

বাংলা প্রবাদ, প্রবচন, বচন সংগ্রহ৤
বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত প্রবাদসমূহ
==========================
প্রবাদে অনেক স্পষ্ট ঠোঁটকাটা কথা আছে বটে, তবে লক্ষ করা যাচ্ছে প্রবাদের সিংহভাগই
অন্যকে হেয় করায় ব্যস্ত৤
নানা যুগের সমাজচিত্রও এতে প্রতিফলিত৤



অকাজে বউড়ী দড়,লাউ কুটতে খরতর৤
অকাল গেল সুকাল এল, পাকল কাঁটাল কোষ, আজ বন্ধু ছেড়ে যাও, দিয়ে আমার দোষ৤
অকালে খেয়েছ কচু,মনে রেখ কিছু কিছু৤
অকালে না নোয় বাঁশ,বাঁশ করে ট্যাঁশ ট্যাঁশ৤
অকালে(আকালে) কি না খায়৤
অকালের তাল বড় মিষ্টি৤
অকেজো নাপিতের বোঝা ভরা খুর৤
অকেজো বউ লাউ কুটতে দড়৤
অকেজোর তিন কাজ বড়,ভোজন ক্রোধ নিদ্রা দড়৤
অগ্নি ব্যাধি ঋণ,তিনের রেখো না চিন(চিহ্ন)৤
অঘটির(আদেখলের) ঘটি হল,জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল৤
অঙ্গারঃ শতধৌতেন মলিনত্বং ন মুঞ্চতি৤
অজগরের দাতা রাম(অজগর আহার সংগ্রহে অলস)৤
অজ্ঞানে করে পাপ,জ্ঞান হলে সরে, সজ্ঞানে করে পাপ,সঙ্গে সঙ্গে ফেরে৤
অজাযুদ্ধে ঋষিশ্রাদ্ধে প্রভাতে মেঘডম্বরে দম্পত্যোঃ কলহে চৈব বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া৤
অজার যুদ্ধে আঁটুনি সার৤
অজীর্ণে ভোজনং বিষম্৤
অতি আশ সর্বনাশ৤
অতি চালাকের গলায় দড়ি অতি বোকার পায়ে বেড়ি৤
অতি প্রণয় যেখানে, নিত্য যাবে না সেখানে;যদি যাবে নিত্যি;ঘটবে একটা কীর্তি৤
অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর;অতি বড় সুন্দরী না পায় বর৤
অতি বড় সোদর, তিন দিন করবে আদর৤
অতি বুদ্ধির গলায়(বা হাতে)দড়ি,অতি বোকার পায়ে বেড়ি৤
অতি বুদ্ধির হা-ভাত৤ অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ৤
অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙে যাবে;অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়াবে৤
অতি মন্থনে বিষ ওঠে৤
অতি মেঘে অনাবৃষ্টি৤
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট৤
অতিদর্পে হতা লঙ্কা৤ অতিদানে বলির পাতালে হইল ঠাঁই৤
অদন্তের দাঁত হল, কামড় খেতে প্রাণটা গেল৤
অদন্তের হাসি, দেখতে(বড়) ভালবাসি৤
অদৃষ্টে করলা ভাতে, বীচি কচ কচ করে তাতে,পড়ল বীচি বুড়োর পাতে৤ অদৃষ্টের (কপালের) কিল পুতেও(পুত--ছেলে) কিলোয়৤
অদৃষ্টের ফল, কে খণ্ডাবে বল?
অধিক (অনেক)সন্যাসীতে গাজন নষ্ট৤
অধিক খেতে করে আশা,তার নাম বুদ্ধি নাশা৤
অধিকং তু ন দোষায়৤
অনটনের দুনো ব্যয়৤
অন্তরে এত খলতা, মুখে তোর অতি শীলতা, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ৤__দাশু রায়৤
অন্ধ জাগো, না, কিবা রাত্রি কিবা দিন৤
অন্ধকারে ঢেলা মারা বা ঢিল ছোঁড়া৤
অন্ধকারে লাউ কোটা৤
অন্ধের কিবা রাত কিবা দিন৤
অন্ধের নড়ি, কৃপণের কড়ি৤
অন্ন দেখে দেবে ঘি, পাত্র দেখে দেবে ঝি৤
অন্ন নাই যার ঘরে,তার মানে কি বা করে৤
অন্ন বল নেই,অগ্নিবল আছে৤
অন্ন বিনা চর্ম দড়ি,তৈল বিনা গায়ে খড়ি৤
অন্নচিন্তা চমৎকারা কাতরে কবিতা কুতঃ৤
অন্নচিন্তা চমৎকারা কালিদাস হয় বুদ্ধিহারা৤
অন্নচিন্তা চমৎকারা, ঘরে ভাত নাই জীয়ন্তে মরা৤
অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা এক দিনে লাগে তালা৤
অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করে৤
অনাথের দৈব সখা৤
অনাবৃষ্টে রাজ্য মজে,পাপে মজে ধর্ম;কোটালে গৃহস্থ মজে,আলস্যে মজে কর্ম৤ অনেক কালের ছি পাপ,ছেলে হল সতীনের বাপ৤
অনাহ্বানের নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই৤
অনেক খাবে তো অল্প খাও,অল্পখাবে তো অনেক খাও৤
অনেক গর্জনে ফোঁটা বৃষ্টি৤
অনেক সন্যাসীতে গাজন নষ্ট৤
অনেক হল পাপ, এবার ছাড়ো বাপ৤
অনেক(অগাধ) জলের মাছ৤
অপব্যয়ে লক্ষ্মী ছাড়ে৤
অবংশো পতিতো রাজা মূর্খ পুত্রশ্চ পণ্ডিতঃ, অধনশ্চ ধনং প্রাপ্য তৃণবন্মন্যতে জগৎ৤
অবুঝে বুঝাব কত,বুঝ নাহি মানে;ঢেঁকিরে বুঝাব কত,নিত্য ধান ভানে৤ অবোধারে মারে বোধায়,বোধারে মারে খোদায়৤
অব্রাহ্মণের দীর্ঘ ফোঁটা৤
অবলার মুখে বল৤
অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা৤
অবাক্ ক’ল্লে নাকের নথে,কাজ কি আমার কানবালাতে৤
অবাক কল্লি ভবি(রাধা),অম্বলে দিলি আদা৤
অবাক্ কলির অবতার,ছুঁচোর গলায় চন্ত্রহার৤
অবোধের(পাগলের) গোবধে আনন্দ[গো বধ মহাপাপ]৤
অবোলা বলে দড়, অফলা ফলে দড়৤
অভদ্রা বরষা কাল,হরিণী চাটে বাঘের গাল৤
অভ্যাস দোষ না ছাড়ে চোরে, শূন্য ভিটায় মাটি খোঁড়ে৤
অভ্যাসে সয়, অনভ্যাসে নয়৤
অভাগা চোর যে বাড়ি যায়, হয় কুকুর ডাকে নয় রাত পোহায়৤
অভাগা যদ্যপি(যেদিকে) চায়, সাগর শুকায়ে যায়৤
অভাগার ঘোড়া মরে, ভাগ্যবানের বউ মরে৤
অভাগার নাই যম, বা অভাগার যমও নাই৤
অভাগিনীর দুটো(দুই)পুত, একটা দানা একটা ভূত৤
অভাবে স্বভাব নষ্ট৤
অভাবে স্বভাব নষ্ট মুখ নষ্ট বরণে(ব্রণে),ঝরায় ক্ষেত নষ্ট স্ত্রী নষ্ট মারণে(মারধর) করলে৤
অমৃত-বা কি পদার্থ, খেয়ে দেখি জল৤
অমৃতং বালভাষিতম্৤
অমাবস্যার প্রদীপ টিপ টিপ করে৤
অর্থই অনর্থের মূলে৤
অরসিকেষু রসস্য নিবেদনম্৤
অরাধুনীর হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে, না জানি রাধুনী মোর কেমন করে রাঁধে৤ অরুচির অম্বল শীতের কম্বল বর্ষার ছাতি ভট্‌চায্যির পাঁতি(পুথি)৤
অলক্ষীর নিদ্রা বেশি, কাঙালের ক্ষুধা বেশি৤
অলকা তিলকা(=অঙ্গরাগ) সার৤ অলক্ষীর দ্বিগুণ ক্ষিদে৤
অল্প জলের পুঁটি মাছ ফর ফর করে৤
অল্প বৃষ্টিতে কাদা হয়,বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয়৤
অল্প শোকে কাতর,অধিক শোকে পাথর৤
অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী৤
অলাভের বাণিজ্যে কচকচি সার৤
অশথের ছায়াই ছায়া,মায়ের মায়াই মায়া৤
অশ্বত্থামা হত ইতি গজ৤
অস্থানে তুলসী,অপাত্রে রূপসী৤
অসারে জল সার৤
অসারের তর্জনগর্জন সার৤
অহংকারে গদগদ ভূমিতে না পড়ে পদ৤


আউলে বাঘ জালে পড়ে(আউলে=অস্থির)৤
আকালে কিনা খায়;পাগলে কিনা কয়৤
আকাঙ্ক্ষার সীমা নাই৤
আকাশ পাতাল তফাত৤
আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া৤
আকাশে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে৤
আকাশে ফাঁদ পেতে চাঁদ ধরা৤
আগ নাংলা(নাঙ্গলে) যেদিকে যায়,পাছ নাংলা(নাঙ্গলে) সেদিকে ধায়৤
আগুন চাপা থাকবার নয়৤
আগুন নিয়ে খেলা৤
আগুন পোহাতে গেলে ধোঁয়া সইতে হয়৤
আগুনের কাছে ঘি৤ আগু লাথ,পিছু বাত৤
আগাছার বড় বাড়৤
আগে আপন সামাল কর,শেষে পরকে গিয়ে ধর৤
আগে গেলে বাঘে খায়, পাছে গেলে সোনা পায়৤
আগে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা,পিছে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা৤
আগে তিতা, শেষে মিঠা৤
আগে দুঃখ পরে সুখ৤
আগে দর্শনধারী পিছে গুণ বিচারি৤
আগে দেও কড়ি পিছে দিব বড়ি৤
আগে দেখ, পরে লও, শেষে দাও কড়ি৤
আগে না বুঝিলে বাছা যৌবনের ভরে,পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে৤
আগে ভাল ছিল জেলে জালদড়া বুনে, কি কাজ করিল জেলে এঁড়ে গরু কিনে৤
আচরো বিনয়ো বিদ্যা প্রতিষ্ঠা তীর্থদর্শনম্; নিষ্ঠা বৃত্তিস্তপো দানং নবধা কুললক্ষণম্৤ সদাচার, বিনয়, বিদ্যা, খ্যাতি, তীর্থদর্শন, শাস্ত্রানুমোদিত ধর্মে আসক্তি, ব্রাহ্মণোচিত বৃত্তি(অর্থাৎ বেদাধ্যয়ন প্রভৃতি), তপস্যা এবং দান__ এই নয়টি কুলীনের লক্ষণ৤
আচারে বাড়া, বিচারে এড়া৤
আজ আমীর, কাল ফকির৤
আজ মরলে কাল দু’দিন হবে৤
আঁটুনি কসুনি সার৤
আঁটাআঁটি হইলেই লাঠালাঠি৤
আটে-পিটে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড়৤
আড়াই আঙ্গুল দড়ি,সৃষ্টি জুড়ে বেড়ি৤
আড়াই কড়ার কাসুন্দি, হাজার কাকের গোল৤
আঁত পাওয়া ভার৤
আত্ম রেখে ধর্ম,তবে পিতৃ কর্ম৤
আত্মবন্মন্যতে জগৎ৤
আত্মানং সতত রক্ষেৎ[আপদার্থে ধনং রক্ষেৎ দারান্ রক্ষেদ্ধনৈরপি;আত্মানং সতত রক্ষেৎ দারৈরপি ধনৈরপি]৤ আতুরে নিয়মো নাস্তি৤
আতি চোর,পাতি চোর,হ’তে হ’তে সিঁদেল চোর৤
আদ্যিকাণ্ডের কথা, বললে পাবে ব্যথা৤
আদ্যিকালের বদ্যি বুড়ো৤
আদরে ভোজন কি করে ব্যঞ্জন৤
নুন আনতে পান্তা ফুরায়৤
আদা শুকালেও ঝাল যায় না৤
আদা, ওষুধের আধা৤
আদা জল খেয়ে লাগা৤
আদাড় গাঁয়ে শিয়াল রাজা৤
আদায় কাঁচকলায় সম্বন্ধ৤
আদার ব্যাপারি, জাহাজের খবরে কাজ কি৤
আদি কহিলে মানুষ রুষ্ট৤
আন্ কাপাস নে তুলো৤
আন্ শুনতে কান৤
আন সতীনে নাড়ে চাড়ে,বোন সতীনে পুড়িয়ে মারে৤
আনারস বলে কাঁঠাল ভাই তুমি বড় খসখসে৤
আপ ভালা তো জগৎ ভালা৤
আপ রুচি খানা, পর রুচি পরনা৤
আপন কোটে পাই চিঁড়ে কুটে খাই৤
আপন কোলে ঝোল সবাই টানে৤
আপন গাঁয়ে কুকুর রাজা
আপন ঘরে সবাই রাজা৤
আপন চরকায় তেল দাও৤
আপন চেয়ে পর ভাল,পর চেয়ে জঙ্গল ভাল৤
আপন ছিদ্র জানে না, পরের ছিদ্র খোঁজে৤
আপন পাঁজি পরকে দিয়ে, দৈবজ্ঞ বেড়ায় পথে পথে৤
আপন পাঁঠা লেজে কাটি৤
আপন বুদ্ধি ছিল ভাল,পর বুদ্ধিতে পাগল হল৤
আপন বুদ্ধিতে তর, পরের বুদ্ধিতে মর৤
আপন বুদ্ধিতে ফকির হই, পর বুদ্ধিতে বাদশা নই৤
আপন বুদ্ধিতে ভাত, পরের বুদ্ধিতে হাভাত৤
আপন বেলা চাপন চোপন,পরের বেলা ঝুরঝুরে মাপন৤
আপন বোন ভাত পায় না,শালীর তরে মণ্ডা৤
আপন ভালো পাগলেও বোঝে৤
আপন হাত জগন্নাথ, পরের হাত এঁটো পাত৤
আপন(আপনার) ঘোল কেউ টক বলে না৤
আপন(আপনার) মান আপনি রাখ,কাটা কান চুল দিয়ে ঢাক৤
আপন(আপনারা/নিজের) নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ৤
আপন(নিজের) বেলায় আঁটিসাটি পরের বেলায় দাঁত কপাটি৤
অপনা মাংসেঁ হরিণা বৈরি৤--ভুসুক
আপনার আপনি,ডোর আর কপনি৤
আপনার কিছু নয়, জগৎ কেবল মায়াময়৤
আপনার ছেলটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি, পরের ছেলেটা খায় এতটা,বেড়ায় যেন বাঁদরটা৤
আপনার ধন পরকে দিয়ে,দৈবকী মরে মাথায় হাত দিয়ে[দৈবকী=শ্রীকৃষ্ণের জননী]৤
আপনার নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা৤
আপনার পায়ে আপনি কুড়ুল মারা৤
আপনার বেলায় ছ’ কড়ায় গণ্ডা,পরের বেলায় তিন গণ্ডা৤ আপনার মতো জগৎ দেখা৤
আপনার(নিজের) পায়ে কুড়ুল মারা৤
আপনারটা ষোল আনা,পরেরটা কিছু না৤
আপনি গেলে ঘোল পায় না, চাকরকে পাঠায় দুধের তরে৤
আপনি ঠাকুর ভাত পায় না,শংকরাকে ডাকে৤
আপনি পায় না, পরকে বিলায়৤
আপনি বড় ভাল, তাই লোককে বলে কালো৤
আপনি বাঁচলে বাপের নাম৤
আপনি শুতে জায়গা পায় না, শংকরাকে ডাক৤
আবর তাঁতি গোবর খায়,স্ত্রীর বাক্যে মরতে যায়৤
আম না থাকলে আমড়া চোষে৤
আম না পেয়ে আঁটি চোষা৤
আম না হতে আমসত্ত্ব৤
আম শুকোলে আমসি,বয়স গেলে কাঁদতে বসি৤
আমড়া কাঠের ঢেকি৤
আমড়াতলায় আম পেলে, আমতলায় কেবা যায়৤
আমার আমার যত কর,চিনির বলদ হয়ে মর৤
আমার কথা শোন্, ঘরদোর ভেঙে ফেলে নটে শাক বোন৤
আমার নাম নিতাই, এক খাই এক থিতাই৤
আমি করি ভাই ভাই, দাদার কিন্তু মনে নাই৤
আমি কি নাচতে জানি নে,মাজার ব্যথায় পারিনে৤
আমিও ফকির হলেম,দেশেও আকাল এল৤
আমে দুধে এক হয়,আদাড়ের আঁটি আদাড়ে যায়৤
আমে বান,তেঁতুলে ধান৤
আয় বুঝে ব্যয়৤
আর কি নেড়া বেলতলা যায়?
আর গাব খাব না, গাবতলা দিয়ে যাব না,গাব খাব না-- খাব কি গাবের তুল্য আছে কি?
আরগুণ নেই ছাড়গুণ আছে৤
আর রাজ্যে বামুন নেই,কাশী ঠাকুর চিঁড়ে খাও৤
আরশোলা আবার পাখি৤
আরশোলাও পাখি, আছে আর কি দেখতে বাকি৤
আলস্য হেন ধন থাকতে দুঃখের অভাব কি?
আশা আর ফুঁ আছে, দুধ আর বাটি নেই৤
আশা আর বাসা ছোট করতে নেই৤
আশা আর বাসা ছোট করে মরে চাষা৤
আশা আশা পরম দুখ,নিরাশাই পরম সুখ৤
আশা বৈতরণী নদী৤
আশায় আমার পড়ল ছাই,এখন বল কোথায় যাই?
আশায় খেলিছে পাশা৤
আশায় বাঁচে চাষা৤
আশায় মরে চাষা৤
আশার চেয়ে নিরাশা ভাল, হয়ে গেল তো হয়ে গেল৤
আশার আর শেষ নাই৤
আষাঢ়ে না হলে সূত,হা সূত যো সূত, ষোলতে না হলে পুত, হা পুত যো পুত৤
আষাঢ়ে পান চাষাড়ে খায়,গুয়া বনে পান গড়াগড়ি যায়৤
আসতেও একা যেতেও একা,কার সঙ্গে বা কার দেখা৤
আসর ঘরে মশাল নেই, ঢেঁকিশালে চাঁদোয়া৤
আসলের খোঁজ নেই, সুদের খবর৤ আসেন লক্ষ্মী যান বালাই৤
আহ্লাদে আটখানা, ল্যাজা মুড়ো দশখানা৤


ইঙ্গিতে বুঝলে মন কাজ হতে কতক্ষণ৤
ইচ্ছা থাকে যার উপায় হয় তার৤
ইজ্জতের দাম লাখ টাকা৤
ইটটি মারলেই পাটকেলটি খেতে হয়৤
ইতো ভ্রষ্টস্ততো নষ্টঃ ন পূর্ব ন পর৤
ইঁদুর গর্ত খুঁড়ে মরে,সাপ এসে দখল করে৤
ইন্দ্রের শচী(যখনি যাহার, তখনি তাহার)৤
ইল্লৎ যায় না ধুলে,স্বভাব যায় না মলে৤
ইস্তক জুতো সেলাই, নাগাদ চণ্ডী পাঠ৤


ঈদের চাঁদ৤
ঈশ্বর ঈশ্বর করে যেই, তার ঘরে ভাত নেই৤
ঈশ্বর মঙ্গলময়৤
ঈশ্বর যদি করেন, কর্তা যদি মরেন,তবে ঘরে বসে কেত্তন শুনবো৤
ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্য৤
ঈশ্বরে করে কাম মানুষের বদনাম৤
ঈশান কোণের মেঘে ঝড় ওঠে বেগে(উত্তর ও পুব দিকের মাঝে
ঈশানকোণ, )৤


উই ইন্দুর কুজন,ভাল ভাঙ্গে তিনজন;ছুচ সোহাগা সুজন,ভাল করে তিন জন৤
উঁচান বাড়ি বড় ভয়,পড়লে বাড়ি সয়ে যায়৤
উচিত কথা কইতে গেলে, তেলে বেগুনে ওঠে জ্বলে৤
উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট,উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট৤
উচিত কথায় বন্ধুও বিগড়ায়৤উঁচু হবে তো নিচু হও৤
উচোট খেয়ে প্রণাম৤
উজাড় বনে শিয়াল রাজা৤
উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায়৤
উঠতি মুলো পত্তনে চেনা যায়৤
উঠল বাই তো কটক যাই৤
উড়তে না পেরে পোষ মানা৤
উড়তে পারে না ফুরফুর করে৤
উড়ে এসে জুড়ে বসা৤
উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ৤
উদ খেতে খুদ নেই, নেউলে বাজায় শিঙে৤
উদুখলে খুদ নাই চাটগাঁয় বরাত৤
উদ্যমেন হি সিদ্ধ্যন্তি কার্যাণি ন মনোরথৈঃ;নহি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ৤
উদ্যোগিনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মীঃ৤
উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্৤
উদে মাছ ধরে,খটাশে তিন ভাগ করে৤
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে৤
উপদেশো হি মূর্খানাং প্রকোপায় না শান্তয়ে৤
উপোসে যাবে দিন,ধার করলে হবে ঋণ৤
উপর থেকে পড়ে গেল জনপাঁচ সাত,যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত[যার যেখানে স্বার্থ]৤
উপরে বাবুয়ানা ভিতরে খড়ের বেনা৤
উপরোধে ঢেঁকি গেলা৤
উপায়ং চিন্তয়ন্ প্রাজ্ঞস্ত্বপায়মপি চিন্তয়েৎ[উপায়ং চিন্তয়েৎ প্রাজ্ঞঃ অপায়মপি চিন্তয়েৎ]৤
উপোস করলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ৤
উপোসের কেউ নয়, পারণার গোঁসাই(উপোস ভাঙার পারণের সময় ভাল খাদ্য খেতে হাজির)৤
উল্টা বুঝলি রাম৤
উল্টে চোরা মশান গায়(চোর উলটে উপদেশ দেয়)৤
উলুবনে মুক্তো ছড়ানো৤


ঊনপাঁজুরে বরাখুরে (লক্ষ্মীছাড়া)৤
ঊনো বর্ষা দুনো শীত৤
ঊনোভাতে দুনো বল, অতি ভাতে রসাতল৤


ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ৤
ঋণকর্তা পিতা শত্রু৤ [ঋণকর্তা পিতা শত্রুর্মাতা চ ব্যভিচারিণী;ভার্যা রূপবতী শত্রুঃ পুত্র শত্রুরপণ্ডিতঃ৤(অপণ্ডিত)]৤


এ কূল ও কূল দুকূল গেল৤
এ কি বিধির লীলা খেলা,কাকের গলায় তুলসিমালা৤
এই ডুমুরের গুমোর কর,পাকলে ডুমুর পড়ে মর৤
এই ফুরালে খাবে কি,ঘরে তো নেই(বা আছে)আইবুড়ো ঝি(কন্যার বিয়েতে টাকা দাবির ইঙ্গিত)৤
এই বএই লা নাও ঘর ছেয়ে,আকাশে মেঘ দেখ চেয়ে৤
এই বিড়াল বনে গেলে বনবিড়াল(বাঘ)হয়৤
এই যদি গোরাচাঁদ তবে কালাচাঁদ কেমন৤
এক আঙুলে তুড়ি লাগে না৤
এক আঁচড়ে চেনা যায়৤
এক কড়ার মুরোদ নেই, ভাত মারবার গোঁসাই৤
এক করতে আর হয়৤
এক কলসি জল তুলে কাঁকালে দিলে হাত,এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত৤ এক কাটে ভারে আর এক কাটে ধারে৤
এক ক্ষুরে মাথা কামানো৤
এক কাঠি বাজে না৤
এক কান কাটা শহরের বার দে যায়,দু’কান কাটা শহরের ভিতর দে যায়৤
এক কানে শোনে অন্য কানে বেরোয়৤
এক কাল ঠেকেছে তিনকাল গিয়ে, তবু আবার করবে বিয়ে?
এক কেঁড়ে দুধে এক ছিটে চোনা৤
এক খায়,এক থিতায়৤
এক ঢিলে দুই পাখি মারা৤
এক গাছের ছাল অন্য গাছে জোড়া লাগে না৤
এক গাঁয়ে ঢেঁকি পড়ে,আর গাঁয়ে মাথা ব্যাথা৤
এক গাঁয়ের কুকুর আর গাঁয়ের ঠাকুর৤
এক গালে চুন, এক গালে কালি৤
একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি ন চ তারাগণা অপি৤
এক চাঁদে জগৎ আলো৤
এক চোখে কাঁদা, অন্য চোখে হাসা৤
এক ছেলে তার ফুলের শয্যে,পাঁচ ছেলে তার কাঁটার শয্যে৤
এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা৤ [জনসংখ্যা বাড়ুক সেই ইঙ্গিতও]
এক জায়গায় খাল কেটে আরেক জায়গায় খাল ভরায়৤
এক জায়গায় থাকলে হাঁড়িতে হাঁড়িতে ঠোকাঠুকি হয়৤
এক ঝিকরে মাছ বেঁধে না সে-ই বা কেমন বড়শি,এক ডাকেতে সাড়া দেয় না সে-ই বা কেমন পড়শি৤
এক ঢিলে দুই পাখি৤
এক দোর বন্ধ হাজার দোর খোলা৤
এক পুতের আশ নদীকূলে বাস৤
এক পয়সা নাই থলিতে,লাফিয়ে বেড়ায় তবু গলিতে৤
এক পা জলে, এক পা স্থলে৤
এক পাগলে রক্ষা নেই সাত পাগলের মেলা৤
এক পাঁঠা তিন বারে কাটা৤
এক বুড়ির নানা দোষ,নাকের উপরে হল খোস৤
এক ব্যঞ্জন ভাত তাও আবার নুনে পোড়া৤
এক ভস্ম আর ছার,দোষগুণ কব কার৤
এক মুখ সোনা দিয়ে ভরা যায়,পাঁচ মুখ ছাই দিয়েও ভরে না৤
এক মুখে তিন কথা শুনে লাগে মনে ব্যথা৤
এক মুখে দুই কথা৤
একতাই বল৤
এক মুরগি ক’বার জবাই?
এক মুরগি সাত জায়গায় জবাই৤
এক মাঘে শীত যায় না৤
এক মায়ের এক পুত, খায়দায় যমের দূত৤
এক যাত্রায় পৃথক ফল৤
এক রত্তি দড়ি সকল ঘর বেড়ি৤
এক লাউ-এর বীচি, কেউবা করে কচর কচর কেউবা আছে কচি৤
এক সের জিনিসে পাঁচ সের ঠকানো৤
এক হাটে কিনে আর এক হাটে বেচতে পারে৤
এক হাতে তালি বাজে না৤
এক হেঁসেলে তিন রাঁধুনি,পুড়ে মরে তার ফ্যান গালুনি৤
একচোখো মাসি কারে ভালোবাসি৤
একটি ইঁদুর যদি নড়ে চোরের প্রাণ ধড়ফড়ে৤
একটি ভাত টিপলে, হাঁড়িসুদ্ধ ভাতের খবর মেলে৤
একতাই বল৤
একদিন ঘি-রুটি,একদিন দাঁত-ছিরকুটি৤
একবারের রোগী, আরবারের রোজা[রাজা=চিকিৎসক]৤
একলা ঘরের গিন্নি হব চাবি কাঠি ঘুরিয়ে যাব৤
একা ঘরের একা বউ খেতে বড় সুখ,মারতে এলে ধরতে নাই তাই বড় দুখ৤
একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর৤
একাই একশো৤
একাদশে বৃহস্পতি৤
একি ছেলের হাতে মোয়া৤
একুশ কোঁড়া গুণে খান, ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যান৤
একে তো মধুপর্কের বাটি তায় আবার কাত৤
একে তো হনুমান,তায় আবার রামের বাণ৤
একে মনসা তায় ধুনোর গন্ধ৤
একে মিনমিন দুয়ে পাঠ, তিনে গোলমাল চারে হাট৤
এখন না শুনলে বঁধু যৌবনের ভরে,পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের নীরে৤
এখনই রসগোল্লা খেয়েছি, চা’য়ে আর চিনি দিও না, ব্লাডসুগার আছে৤
এখান হতে মারলেম তির লাগল কলা গাছে,উরুত বেয়ে রক্ত পড়ে চোখ গেল রে বাবা(অসংলগ্ন কথা)৤
এগুলে রাম পেছুলে রাবণ৤
এগুলেও নির্বংশের বেটা,পেছুলেও নির্বংশের বেটা৤
এঁটে ধরলে চিঁচিঁ করে, ছেড়ে দিলে লঙ্কা মারে৤
এঁটো খায় মিঠার লোভে,যদি এঁটো মিঠা লাগে৤
এঁটো পাত কখনো স্বর্গে যায় না৤
এঁড়ে গরু, না টেনে দো৤
এত সুখ যদি কপালে তবে কেন তোর কাঁথা বগলে৤
এদিক নেই ওদিক আছে৤
এমনি যায় না মাস,আবার দুদিন বেশি৤
এয্‍ং যায় ব্যাং যায়,খলসে বলে আমিও যাই৤
এয়সা দিন নেহি রহেগা৤
এর মুণ্ডু ওর ঘাড়ে৤
এরন্ডোঽপি দ্রুমায়তে৤
এস্পার কি ওস্পার৤




ওজন বুঝে চলা৤
ওঝার ঘাড়ে ভূতের বোঝা৤
ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে[অমনি হল বিয়ে]৤
ওরে পাগল খাবিনে, না, হাত ধোব কোথা?
ওল খেয়ে গোল৤
ওষুধ ধরেছে৤
ওস্তাদের মার শেষ রাতে৤


ঔষধার্থে সুরা পান, পান না বাড়ালেই থাকে মান৤


ক অক্ষর গোমাংস৤
ক’টি ছেলে, না, পুড়িয়ে খাব[বধিরদের অসংলগ্ন কথা]৤
কংস মামার আদর৤
কই মাছের প্রাণ অল্পেতে না যান৤
কইতে কইতে মুখ বাড়ে,খাইতে খাইতে পেট বাড়ে৤
কইতে জানলে ঠকি না,বসতে জানলে উঠি না৤
কুকুর রাজা হলেও জুতো খায়৤
কুকুরকে নাই দিলে মাথায় ওঠে৤
কুকুরের কামড় হাঁটুর নীচে৤
কুকুরের পেটে ঘি হজম হয় না৤
কুকুরের মুগের পথ্যি কুকুর বলে মোর এ কি বিপত্তি৤
কুকুরের লেজে ঘি ঢালেলও সোজা হয় না৤
কচু কাটতে কাটতেই ডাকাত৤
কচু পোড়া খাওয়া৤
কচুর বেটা ঘেচু,বড় বাড়েন তো মান৤
কচি খুকি, কুলোয় শুয়ে তুলোয় দুধ খান৤
কুঁজী, না, ঐ তো পুঁজি৤
কুঁজোর ইচ্ছা চিত হয়ে শোয়৤
কড়ি থাকলে বেয়াইয়ের বাপের শ্রাদ্ধ হয়, না থাকলে নিজের বাপের শ্রাদ্ধও হয় না৤
কড়ি দিয়ে কানা গরু কেনা৤
কড়ি দিয়ে কিনব দই গোয়ালিনী মোর কিসের সই?
কড়ি দিয়ে খাই দই,কি করবে মোর গোয়ালা সই?
কড়ি দিয়ে হেঁটে নদী পার৤
কড়ি লবে গুণে, পথ চলবে জেনে [গুরু করবে জেনে,জল খাবে ছেনে,কড়ি লবে গুণে, পথ চলবে জেনে]৤
কড়ি হলে বাঘের দুধ মেলে৤
কড়িকাঠ গোণা৤
কড়ির জিনিস পড়িস না?
কুঁড়ে কৃষাণ অমাবস্যা খোঁজে৤
কুঁড়ে গরুর এঁটুলি সার৤
কুঁড়ে ঘরে বাস খাট পালঙ্কের আশ৤
কুঁড়ে পাটুনির মুখে আঁটুনি৤
কণ্টকেনৈব কণ্টকম্৤
কত ধানে কত চাল৤
কত ব্রত করলি যশী,(এখন)বাকি ভূমি-একাদশী৤
কত রঙ্গ দেখালি মাসি৤
কত রবি জ্বলে রে, কেবা আঁখি মেলে রে?
কত সাধ যায় রে চিতে, বেগুন গাছে আঁকশি দিতে৤
কতই সাধ হয় রে চিতে,ফোগলা দাঁতে মিশি দিতে৤
কতইবা দেখব আর ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার৤
কতক্ষণ রহে শিলা শূন্যেতে মারিলে?
কথা টলার চেয়ে পা টলা ভালো৤
কথায় কথা বাড়ে, ক্রোধে হয় ঝড়, কথা না বাড়িয়ে সখি যাও এবে ঘর৤
কথায় চিঁড়ে ভেজে না৤
কথার গুণে বার্তা নষ্ট৤
কথার নেই মাথা, গরমে গায়ে কাঁথা৤
কনের ঘরের মাসি, বরের ঘরের পিসি৤
কনের মা কাঁদে, আর টাকার পুঁটুলি বাঁধে৤
কপট প্রেমে লুকোচুরি,মুখে মধু প্রাণে ছুরি৤
কৃপণের ধন বর্বরে খায়, কৃপণ করে হায় হায়৤
কুপুত্র যদ্যপি হয়,কুমাতা কখন নয়৤
কপাল গুণে গোপাল ঠাকুর৤
কপাল ভাঙলে জোড়া লাগে না৤
কপাল সাথে সাথে ফেরে৤
কপালে নেইকো ঘি ঠকঠকালে হবে কি?
কপালের লিখন না যায় খণ্ডন৤
কম্বলের লোম বাছতে গাঁ উজাড়৤
কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস করা৤
কয়লা ছাড়ে না ময়লা৤
কয়লা ধুলে ছাড়ে না ময়লা৤
কুয়ো হয়,আমের ভয়,তাল তেঁতুলের কিছুই নয়[কুয়ো=কুয়াশা]৤
কর গোবিন্দ বাপের শ্রাদ্ধ আরও বামুন আছে৤
কর যদি তাড়াতাড়ি, ভুলের হবে বাড়াবাড়ি৤
করছে কীসের জাঁক, ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক৤
কর্তা পান না, তাই খান না৤
কর্তা যে ঘি খান তা এক আঁচড়েই মালুম৤
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম,উলু বনে কেত্তন৤
কর্মণ্যেবাধিকারস্তে না ফলেষু কদাচন৤
কলসির জল গড়াতে গড়াতেই শেষ৤
কলার ভেলায় সাগর পার৤
কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না৤
কষতে কষতে বাঁধন ছেঁড়ে৤
ক্ষুদ খেয়ে পুঁজি করে দু-পুরুষে খরচ করে৤
ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পুণ্য নাই৤
ক্ষিদের চোটে পাটকেলে কামড়৤
ক্ষেত্রে কর্ম বিধিয়তে৤
ক্ষেতের চাষে দুঃখ নাশে৤
কা কস্য পরিবেদনা৤
কাক কোকিল একই বর্ণ, কিন্তু স্বরে ভিন্ন ভিন্ন৤
কাক খায় কাঁঠাল,বকের মুখে আঠা৤
কাক মনে করে আমি বড় সেয়ানা৤
কাক সকলের মাংস খায়,কাকের মাংস কেউ খায় না৤
কাকের উপর কামানের চোট৤
কাগের ছা, বগের ছা(লেখা)৤
কাকের ডিম সাদা হয়, বিদ্বানেরও ছেলে গাধা হয়৤
কাকের পিছে ফিঙে লাগা৤
কাকের বাসায় কোকিলের ছা,জাত স্বভাবে কাড়ে রা৤
কাকের মাংস কাকে খায় না,জোঁকের গায়ে জোঁক বসে না৤
কাঙলা আপনা সমালা৤
কাঙালকে শাকের ক্ষেত দেখাতে নেই৤
কাঙালের কথা বাসি হলে মিঠে৤
কাঙালের ঘোড়া রোগ৤
কাঙালের ঠাকুর ব্যাধি৤
কাঙালের রাংতা-ই সোনা৤
কাচঃ কাচো মণির্মণিঃ৤
কাঁচপোকার আরশোলা ধরা৤
কাঁচা খাই,ডাসা খাই, আর খাই পাকা৤
কাঁচা গাথুনি, দুনো খাটুনি৤
কাঁচা বাঁশ ঘুণ ধরা৤
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরলে, রক্ষা নাই তার কোনও কালে৤
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা৤
কাঁচা মাটিতে পা দেওয়া৤
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, বাঁশ করে ট্যাস ট্যাস৤
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ...৤
কাছা দিতে কোঁচা আঁটে না,কোঁচা দিতে কাছা আঁটে না৤
কাজ নেই কাজ করে, ধানে চালে এক করে৤
কাজ সেরে বসি, শত্রু মেরে হাসি৤
কাজও নেই, কামাইও নেই৤
কাজে এড়া ভোজনে দেড়া৤
কাজে কুঁড়ে ভোজনে দেড়ে,বচনে মারে তেড়ে ফুঁড়ে৤
কাজে কম খেতে যম৤
কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলে পাজি৤
কাজের বেলায় ভাগে খাবার বেলায় আগে৤
কাজের মধ্যে চাষ, রোগের মধ্যে কাশ৤
কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই৤
কাটতে কাটতে নির্মূল৤
কাটলে রক্ত নেই, কুটলে মাংস নেই৤
কাটা কান চুল দিয়ে ঢাকি৤
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে৤
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা৤
কাঁটা বিনা কমল নাই, কলঙ্ক বিনা চাঁদ নাই৤
কাঠবিড়ালীর সেতুবন্ধন৤
কাঠের বিড়াল হোক তাতে কিবা আসে যায়, ইঁদুর ধরে কিনা সেটাই বিষয়৤
কাঠের বিড়াল হোক, ইঁদুর ধরতে পারলেই হল৤
কাঁড়ানো চালে তিন ঘা পাড়৤
কাঁধে কুড়ুল বনময় খোঁজা৤
কানু ছাড়া গীত নাই৤
কান টানলে মাথা আসে৤
কানা ক’বার নড়ি(যষ্টি) হারায়?
কানা গরু বামুনকে দান৤
কানা গরুর ভিন্ন গোঠ৤
কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন৤
কানা পুতে পোষে, রাজা বেটি(ঝিয়ে/বৌয়ে) শোষে৤
কানা পুতের নানা রোগ৤
কানা মেঘের বৃষ্টি সর্বত্র নয় দৃষ্টি৤
কানে কলম গুঁজে দুনিয়ায় খোঁজা৤
কানে দিয়েছ তুলো, পিঠে বেঁধেছ কুলো৤
কানে হাত না দিয়েই বলে কান নিয়ে গেল চিলে
কানের জল, জল দিলেই বেরোয়৤
কানের পোকা বের করা৤
কাপড় দিয়ে আগুন ঢাকা৤
কাপড় হলে পচা,আঙ্গুল হয় খোঁচা৤
কাপড়ের দাগ যায় ধুলে, মনের দাগ যায় ম’লে৤
কামাতে না পারেন নাপিত ধামা ভরা ক্ষুর৤
কামানো মাথায় ক্ষুর বোলানো৤
কামারের কাছে লোহা জব্দ৤
কার কপালে কেবা খায়৤
কার শ্রাদ্ধ কে বা করে, খোলা কেটে বামুন মরে৤
কার শ্রাদ্ধ, বামুনের হদ্দ৤
কার সাধ্য মারে তারে,খোদা যারে রাজি৤
কারও ঘর পোড়ে, কেউ আগুন পোহায়(খই খায়)৤
কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ৤
কারও শাকে বালি, কারও দুধে চিনি৤
কারে পড়লে আল্লার নাম৤
কাল রাম রাজা হবে আজ বনবাস৤
কাল হাঁড়ি, কেয়া পাত, তবে দেখবি জগন্নাথ৤
কালনেমির লঙ্কা ভাগ৤
কালস্য কুটিলা গতিঃ৤
কালা পুরুত, তোতলা যজমান৤
কালা বলে গায় ভালো, কানা বলে নাচে ভালো৤
কালা শোনে ঢাকের বাদ্যি,কালা বলে মোর বিয়ের বাদ্যি৤
কালি কলম পাত, তবে লেখার হাত৤
কালি কলম মন,লেখে তিন জন৤
কালির অক্ষর নাইকো পেটে, চণ্ডী পড়ে কালীঘাটে৤
কালে কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার৤
কালে কালে কতই হল, পুলি পিঠের লেজ গজালো৤
কালের আবার কালাকাল৤
কালো জগত আলো৤
কালোয় কালোয় ধলো হয় না৤
কালো কাপড় রুখু মাথা, লক্ষ্মী বলেন থাকব কোথা?
কাশীধামে কাক মরেছে কুমিল্লাতে হাহাকার৤
কি অপূর্ব সৃষ্টি না তিত না মিষ্টি৤
কি দেব, কি দেব খোঁটা, গয়ায় মরেছে (তার) বাপ-বেটা৤
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে৤
কিনতে পাগল, বেচতে ছাগল৤
কিবা জ্যেষ্ঠ কি কনিষ্ঠ,যেই বুঝে সেই শ্রেষ্ঠ৤
কিমাশ্চর্যমতঃপরম্৤
কিল খেয়ে কিল চুরি৤
কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো৤
কিসে নেই কী, পান্তাভাতে ঘি৤
কীর্তিযস্য স জীবতি[চলচ্চিত্তং চলদ্বিত্তং চলজ্জীবনযৌবনম্৤ চলাচলমিদং সর্বং কীর্তিযস্য স জীবতি]৤
কেউ মরে, কেউ হরি হরি বলে৤
কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুলো৤
কেঁচো দিয়ে কাতলা ধরা৤
কোথা রাম রাজা হবে, না কোথা রাম বনে যাবে৤
কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়৤
কোদাল পাড়লেই হয় না চাষ৤
কোন্ আক্কেলে কয় সংসার আমার নয়?
কোন কালে নাইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই৤
কোন্ বা বিয়ে তার দুপায়ে আলতা৤


খঞ্জনের নাচ দেখে চড়ুইয়ের নাচ৤
খুঁট আখুরে গাঁয়ের বালাই(অল্প শিক্ষিত)৤
খুঁটির জোরে মেড়া লড়ে৤
খড়ম পায়ে দিয়ে গঙ্গা পার৤
খড়ের আগুন যেমন জ্বলে তেমন নেভে৤
খাই দাই বাঁশি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না৤
খাই দাই ভুলিনি, তত্ত্ব কখন ছাড়িনি৤
খাওয়াবে হাতির ভোগে, দেখবে বাঘের চোখে৤
খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি
খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে,কাল কাল হল তার এঁড়ে গরু কিনে৤
খাঁচায় পুরে খোঁচা মারা৤
খাট ভাঙ্গলে ভূমিশয্যে৤
খাটে খাটায় লাভের গাঁতি,তার অর্ধেক মাথার ছাতি;ঘরে বসে পুছে বাত,তার কপালে হা-ভাত৤
খাতায় নাম লেখানো৤
খাঁদা নাকে তিলক পরা৤
খাঁদা নাকে নথ আর গোদা পায় মল৤
খাবার আছে চা’বার নেই, দেবার আছে নেবার নেই৤
খাবার বেলায় মস্ত হাঁ, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা৤
খাবার বেলায় ন’বার মা, ছেলে ধরতে কেউ না৤
খাবার সময় শোবার চিন্তা৤
খায় দায় পাখিটি,বনের দিকে আঁখিটি৤
খায় না খায় সকালে নায়,হয় না হয় দুবার যায়;তার কড়ি কি বৈদ্যে খায়?
খায় মালকোঁচা মেরে ওঠে হাঁটু ধরে৤
খাল কেটে কুমির আনা৤
খাল পার হয়ে কুমিরকে কলা দেখানো৤
খালি কলসি বাজে বেশি৤
খিড়কি দিয়ে হাতি গলে, সদরে বাধে ছুঁচ৤
খেঁকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ সার৤
খেতে খেতে লোভ বাড়ে, কাঁদতে কাঁদতে শোক বাড়ে৤
খেতে পায় না পচা পুঁটি, হাতে পরে হিরের আংটি৤
খেতে পেলে শুতে চায়৤
খেদাই না, তোর উঠোন চষি৤
খেয়ে দেয়ে একাদশী৤
খোঁড়ার পা খানায় পড়ে৤
খোদর ওপর খোদকারি৤
খোদার নাও দোয়ায় চলে৤
কাদায় পড়লে হাতি, চামচিকেতে মারে লাথি৤
খোশ খবরের ঝুটাও ভাল৤
খোসে তেল নেই, কলাবড়ার সাধ৤


গঙ্গা গঙ্গা না জানি কত রঙ্গা-চঙ্গা৤
গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজা৤
গঙ্গার জল গঙ্গায় র’ল, পিতৃপুরুষ উদ্ধার হল৤
গজভুক্তকপিত্থবৎ[এখানে গজ=কয়েৎবেলের ভিতরের ক্ষুদ্র পোকা, কপিত্থ=কয়েৎবেল]৤
গুটি পোকা গুটি করে, নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে৤
গড়তে চায় ঠাকুর, হয়ে যায় কুকুর৤
গুণে নুন দিতে নেই/গুণের ঘাট নেই(গুণহীনকে ব্যঙ্গ)৤
গুণের বালাই নিয়ে মরি৤
গতর নেই চোপায় দড়,মেঙ্গে খায় তার পালি বড়৤
গতস্য শোচনা নাস্তি৤
গদাইলসকরি চাল৤
গুনে কড়ি জলে ফেলা৤
গব্য থাকলে আগে পাছে,কি করবে তার শাকে মাছে৤
গুবরে পোকার পদ্মমধু খেতে সাধ৤
গভীর জলের মাছ৤
গরু জরু ধান রাখ বিদ্যমান/গরু জরু ধান না দেখলেই যান৤
গুরু বোবা, শিষ্য কালা(কালা=বধির)৤
গুরু মারা বিদ্যে৤
গরু মেরে জুতো দান৤
গরজ বড় বালাই৤
গর্জায় কিন্তু বর্ষায় না৤
গর্তের সাপ খুঁচিয়ে বার করা৤
গ্রহণ লাগলে সাবই দেখে(গ্রহণ = বিপদ)৤
গ্রামের নাম তেঘরে, তার আবার উত্তর পাড়া দক্ষিণ পাড়া৤
গরিবের কথা বাসি হলে মিঠে লাগে৤
গরিবের ঘোড়া রোগ৤
গরিবের রাঙতাই সোনা৤
গরু গোয়ালের পাশের ঘাস খায় না৤
গলা টিপলে এখনও দুধ বেরোয়৤
গলায় কাঁটা ফুটলে বেড়ালের পায়ে ধরে৤
গলার নীচে গেলে আর মনে থাকে না৤
গৃহ স্থির আগে কর, গৃহিনী স্থির তার পরে৤
গৃহিনী গৃহমুচ্যতে৤
গাঁ বড়, তার মাঝে পাড়া, নাক নেই তার নথ নাড়া৤
গাই কিনবে দুয়ে বলদ কিনবে বেয়ে৤
গাই ছিল না হল গাই,চালুনি নিয়ে দুইতে যাই৤
গাই নেই তো বলদ দো৤
গাই বাছুরে ভাব থাকলে মাঠে গিয়ে দুধ দেয়৤
গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন৤
গাঙ্গে গাঙ্গে দেখা হয়, বোনে বোনে নয়৤
গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ সাত, যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত৤
গাছে উঠতে পারে না বড় আমটি আমার৤
গাছে ওঠে পড়তে, জামিন দেয় মরতে৤
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল৤
গাছে তুলতে সবাই আছে৤
গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া৤
গাছে/গাছ না উঠতেই এক কাঁদি৤
গাছের পরিচয় ফলে৤
গাছেরও খায় তলারও কুড়ায়৤
গাজনের নেই ঠিক ঠিকানা, ডেকে বলে বাজনা বাজা৤
গাধা জল ঘোলা করে খায়৤
গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা৤
গায়ে ওড়ে খড়ি, কলপ দেওয়া দাড়ি৤
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল৤
গায়ের কালি ধুলে যায় মনের কালি ম’লে যায়৤
গায়ের গন্ধে ভূত পালায়,মাথায় ফুলেল তেল৤
গিন্নির উপর গিন্নিপনা ভাঙা পিঁড়েয় আলপনা৤
গিন্নির পাপে গেরস্থ নষ্ট৤
গেঁয়ো যোগীর ভিখ মেলে না৤
গোঁগা(গোঁ গোঁ করে কথা বলে, অর্থাৎ বোবা) ছেলের নাম তর্কবাগীশ৤
গোজন্ম ঘুচে গন্ধর্ব জন্ম৤
গোড়া কেটে আগায় জল৤
গোদা পায়ে মল৤
গোদের উপরে বিষফোঁড়া৤
গোঁফ দেখলেই শিকারী বেড়াল চেনা যায়৤
গোঁফ নেই কোনও কালে,দাড়ি রেখেছেন তোবড়া গালে(অনভিজ্ঞ প্রয়াস)৤ গোঁয়ারের মরণ খোঁয়ারে৤
গোভাগ্য নেই,এঁটুলি ভাগ্য আছে৤
গো-মড়কে মুচির পার্বণ৤
গোলে হরিবোল৤


ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি৤
ঘট গড়তে পারে না মেটের বায়না নেয়(মেটে=বড় জালা)৤
ঘটকালি করতে গিয়ে বিয়ে করে আসা৤
ঘুঁটে কুড়ুনির ব্যাটার নাম চন্দনবিলাস৤
ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে, তোমার একদিন আছে শেষে৤
ঘন দুধের ফোঁটা, বড় মাছের কাটা(ভাল জিনিসের অল্পও ভালো)৤
ঘন্টা বাজিয়ে দুর্গোৎসব, ইতু পুজোয় ঢাক৤
ঘুমন্ত বাঘে শিকার ধরে না৤
ঘ্যান ঘেনে যে খোকা, বের করে কান-পোকা৤
ঘর কন্না করতে গেলে ঘটি বাটির সঙ্গে ঝগড়া হয়৤
ঘর চোরে পার নেই৤
ঘর থাকতে বাবুই ভেজা৤
ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায়৤
ঘর ফাঁদবে ছাইবে না, ধার দেবে চাইবে না৤
ঘর ভেদেই রাবণ নষ্ট৤
ঘর সন্ধানী বিভীষণ৤
ঘর-জ্বালানো,পর ভুলানো৤
ঘরজামাইয়ের পোড়া মুখ, মরা বাঁচা সমান সুখ৤
ঘরদোর নেই যার আগুনে কি ভয় তার৤
ঘরমুখো বাঙালি, রণমুখো সেপাই৤
ঘরামির ঘর ছেঁদা৤
ঘরে ছুঁচোর কেত্তন, বাইরে কেঁচোর পত্তন৤
ঘরে নেই ঘটিবাটি, কোমরে মেলাই চাবি কাঠি৤
ঘরে নেই ভাত কোঁচা তিন হাত৤
ঘরে নেই যা, বাছা মাগে তা৤
ঘরে বসিয়ে মাইনে দেয় এমন মনিব কোথোয় পাব?
ঘরে বসে রাজা উজির মারা৤
ঘরে বসে রাজার মাকে ডাইনি বলা৤
ঘরে বাইরে এক মন তবে হয় কৃষ্ণ ভজন৤
ঘরে ভাত না থাকলে শালগ্রামের সোনা বেচে খায়৤
ঘরে ভাত নেই দোরে চাঁদোয়া৤
ঘরে ভাত নেই, যত্নে ঘাট নেই৤
ঘরের ইঁদুর বাঁশ কাটলে ধরে রাখে কে?
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো৤
ঘরের ঢেঁকিই কুমির৤
ঘরের ভাত দিয়ে শকুনি পোষে, গোয়ালের গরু টেঁকে কীসে?(নীচকে উপকার করার ফল)৤
ঘরের মা ভাত পায় না, পরের জন্য মাথা ব্যথা৤
ঘরের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা৤
ঘরের শত্রু বিভীষণ৤
ঘরের ষাঁড় পেট ফাঁড়ে৤
ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয়ে যায়৤
ঘষে মেজে রূপ, আর ধরে বেঁধে প্রেম৤
ঘষে মেজে সুন্দরী৤
ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে গেল৤
ঘি আদুড়, ঘোল ঢাকা৤
ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাতা, তবু যায় না জাতের জাতা৤
ঘি ভাত খেতে ঠোঁট পুড়লো৤
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া৤
ঘোড়া থাকলে চাবুকের ভাবনা?
ঘোড়া দেখলেই খোঁড়া৤
ঘোড়া ভেড়ার এক দর৤
ঘোড়ার কামড় ছাড়তে জানে না৤
ঘোড়ার গোয়ালে ভেড়া ঢোকা৤
ঘোড়ার ঘাস কাটা৤
ঘোড়ার পেট গাধার পিঠ,খালি থাকে কদাচিৎ৤
ঘোমটার ভিতর খ্যামটা নাচা৤




চক চক করলেই সোনা হয় না৤
চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি চ সুখানি চ৤
চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি সুখানি চ৤
চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন৤
চক্ষে চক্ষে যত ক্ষণ, প্রাণ পোড়ে ততক্ষণ৤
চক্ষে দেখলে শুনতে চায় এমন বোকা আছে কোথায়?
চক্ষের আড়াল হলেই মনের আড়াল৤
চড় মেরে গড় করা৤
চড় মেরে চড় খাওয়া৤
চূড়ার উপর ময়ূর পাখা৤
চণ্ডীচরণ ঘুঁটে কুড়োয়, রামা চড়ে ঘোড়া৤
চতুরের সঙ্গে চতুরালি৤
চন্দনং ন বনে বনে৤
চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল, জোনাকি ধরে বাতি;মোগল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি৤
চরণামৃত চরণামৃত, না জানি কি অমৃত,খেয়ে দেখি না জল৤
চুরি বিদ্যে বড় বিদ্যে যদি না পড়ে ধরা, যদি পড়ে ধরা তবে হাতে পায়ে দড়া৤ চুল থাকে তো বাঁধি, গুণ থাকে তো কাঁদি৤
চলতে পারে না তার বন্দুক ঘাড়ে৤
চল্লেই চল্লিশ বুদ্ধি, না চল্লেই হতবুদ্ধি৤
চুলোর উপর ক্ষীর মন নয় স্থির৤
চাকরি তালপাতার ছাউনি৤
চাকরি মেঘের ছায়া,মিছে কর তার মায়া৤
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা৤
চাচাই বল কাকাই বল,কলাটি পাঁচ কড়া৤
চাঁদে কলঙ্ক আছে, গোলাপে কণ্টক৤
চাঁদের কাছে জোনাকি পোকা,ঢাকের কাছে টেমটেমি৤
আকাশে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে৤
চাপ পড়লেই বাপ৤
চাল কি দর, না মামার ভাতে আছি৤
চাল নাই ধান নাই,গোলাভরা ইঁদুর৤
চাল নেই তার ধুচুনি নাড়া,নাক নেই তার নথ নাড়া৤
চালুনি বলে ছুঁচ তোর পিছনে ফুটো৤
চালুনি বলে ধুচুনি ভাই তুমি বড় ফুটো৤
চালে খড় নেই,ঘরে বাতি, বিছানা নেই পোহায় রাতি৤
চালের দর কত, না মামার ভাতে আছি৤
চালের বাতায় মাণিক থুয়ে উলু বনে হাতড়ানো৤
চিঁড়ের বাইশ ফের৤
চিন্তা জ্বরো মনুষ্যানাম্৤
চিন্তের মায়ের চিন্তে হাটের লোক শোয় কোথা৤
চিৎপাতের কড়ি উৎপাতে যায়৤
চিল পড়লে কুটোটাও নিয়ে ওঠে৤
চিলে কান নিয়ে গেল৤
চেটায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন৤
চেনা বামুনের পৈতে লাগে না৤
চোখ থাকতে কানা৤
চোখ বন্ধ করলে কি প্রলয় বন্ধ হয়?
চোখের দোষে সব হলদে৤
চোর চায় ভাঙা বেড়া৤
চোর ছেঁচড় চোপায় দড়, আগে দৌড়ায় ঠাকুর ঘর৤
চোর দিয়ে চোর ধরা৤
চোর ধরতে চোরকে লাগানো৤
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে৤
চোর ভাল তো বেকুব ভালো না৤
চোরকে বলে চুরি করতে গেরস্তকে বলে সজাগ থাকতে৤
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী৤
চোরে উপর বাটপাড়ি৤
চোরে কামারে দেখা নেই সিঁধ কাঠি গড়া৤
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই৤
চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়া৤
চোরের শতেক রাত গেরস্থের এক রাত৤
চোরের গরু গোয়ালে বাঁধা৤
চোরের দশদিন, গেরস্থের এক দিন৤
চোরের মনে বোঁচকা৤
চোরের রাত্রিবাসও লাভ৤
চোরের সাক্ষী গাঁট কাটা, শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল৤
চোরের সাক্ষী মাতাল৤
চৌকিদারি কি ঝকমারি৤


ছুঁচ হয়ে ঢোকে ফাল হয়ে বেরোয়৤
ছুঁচো মেরে হাতে গন্ধ৤
ছুঁচোয় যদি আতর মাখে তবু কি তার গন্ধ ঢাকে৤
ছুঁচোর গোলাম চামচিকে,তার মাইনে চৌদ্দ সিকে৤
ছল করে জল আনা৤
ছাই চাপা কি আগুন রয়?
ছাই পায় না, মুড়কি জলপান৤
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো৤
ছাগল দিয়ে ধান মাড়ানো৤
ছাগল বলে আলুনি খেলাম,গেরস্ত বলে প্রাণে ম’লাম৤
ছাগলে কি না খায়, পাগলে কি না কয়?
ছাগলের তৃতীয় সন্তান[বঞ্চিত]
ছাঁচের ঘরে খাবি খায়, সমুদ্রপার হতে চায়৤
ছাতুর হাঁড়িতে বাড়ি পড়া৤
ছাতা দিয়ে মাথা রাখা৤
ছায়াতে ভূত দেখা৤
ছাল নেই কুত্তার বাঘা নাম৤
ছিকলি কাটা টিয়া৤
ছিঁড়ল দড়া তো ছুটল ঘোড়া৤
ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনি, পুড়ে পুড়ে রাঁধুনি৤
ছিলাম রোগী হলাম রোজা৤
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকা স্বপ্ন দেখা৤
ছেড়ে দিয়ে তেড়ে ধরা৤
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি৤
ছেঁদো কথার মাথায় জটা, খুলতে গেলে বিষম ল্যাঠা৤
ছেলের চেয়ে ছেলের মাথা ভারী৤
ছেলের হাতের মোয়া৤
ছোট কাঁটাটি ফোটে পায়,তুলে ফেল নইলে দায়৤
ছোট মুখে বড় কথা৤
ছোট সরাটি ভেঙে গেছে, বড় সরাটি আছে, নাচ-কোঁদ কেন বউ, আমার আন্দাজ আছে৤


জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছে, পালিয়ে বাঁচবি কোথা?
জঙ্গলা কখন পোষ না মানে, মন সদা তার সোঁদর বনে৤
জুতো মেরে গরু দান৤
জুতো মেরেছে অপমান তো করেনি?
জন জামাই ভাগনা এ তিন নয় আপনা৤
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী৤
জন্ম মৃত্যু বিয়ে__ তিন বিধাতা দিয়ে৤
জন্মে দেখেনি লোহা, কোদালকে বলে গুণছুঁচ৤
জন্মের মধ্যে কর্ম নিমুর চৈত্র মাসে রাস(সামান্য কাজ করে অকর্মণ্য লোকের অহংকার)৤
জপ নেই তপ নেই ভস্মমাখা গায়৤
জপতপ কর কি মরতে জানলে ডর কি?
জমি অভাবে উঠোন চষা৤
জুয়াচোরের বাড়ি ফলার, না আঁচালে বিশ্বাস নেই৤
জ্যান্ত মাছে পোকা পড়ানো৤
জল খেয়ে জলের বিচার(জাত জিজ্ঞাসা)৤
জল ছিটালে লগির খোঁচা খেতে হয়৤
জল জল বৃষ্টির জল, বল বল বাহুবল৤
জলে কুমির ডাঙায় বাঘ৤
জলে তেলে মিশ/খাপ খায় না৤
জলে পাথর পচে না৤
জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে বিবাদ৤
জলের কুমির ডাঙ্গায় এল৤
জলের ছিটে দিয়ে লগির গুঁতো খাওয়া৤
জলের শত্রু পানা, মানুষের শত্রু কানা৤
জাগন্ত ঘরে চুরি নেই৤
জাতও গেল পেটও ভরল না৤
জানিবে শমন ভয়, দুর্জনের আশ্রয়৤
জামায়ের জন্য মারে হাঁস গুষ্টি সুদ্ধ খায় মাস৤
জামের খোসা ফেলে খাওয়া৤
জাল ছেঁড়া পলো ভাঙা(দুর্ধর্ষ লোক)৤
জিব পুড়ল আত্মদোষে, কি করবে মোর হরিহর দাসে৤
জীব দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি৤
জেলের পরনে টেনা, মাছ বেচুনির কানে৤
জোছনাতে ফটিক ফোটে, চোরের মায়ের বুক ফাটে৤
জোয়ার মাত্রেই ভাঁটা আছে৤
জোয়ারের জল কতক্ষণ৤
জোর যার মুল্লুক তার৤


ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামৎ বাড়ে৤
ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফিরে যায়৤
ঝাঁঝরি বলে ছুঁচকে তুই বড় ফুটো৤
ঝাঁটা দিয়ে বিষ ঝাড়ানো৤
ঝি জব্দ কিলে, বউ জব্দ শিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে৤
ঝিকে মেরে বৌকে শেখানো৤
ঝির ঝি করবে কি(অনাবশ্যাক আশা)?
ঝোলে ঝালে অম্বলে, সব ঠাঁই বেগুন চলে৤




টক টেশো আঁটিসারা, শাঁসশূন্য আঁশ ভরা, এই আম বিলাবার ধারা৤
টকের জ্বালায় দেশ ছাড়লাম তেঁতুল তলায় বাস৤
টাক, প্রকৃতি, গোদ মরণে হয় শোধ৤
টাকা তুমি যাচ্ছ কোথা? পিরিত যথা; আসবে কবে? বিচ্ছেদ যবে(টাকা ধার চাইলে বন্ধু বিচ্ছেদ)৤
টাকা যার মামলা তার৤
টাকায় টাকা আনে৤
টান দিয়ে বাঁধলে সট করে ছেঁড়ে৤
টেনে বাঁধতে কুলোয় না৤


ঠক/ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়৤
ঠকঠকালে হবে কি, কপালে তোর নেই কো ঘি৤
ঠগ বাছতে গাঁ উজোড়৤
ঠাকুর ঘরে কে, না আমি তো কলা খাই না৤
ঠাট ঠমকে বিকোয় ঘোড়া৤
ঠেকবি যখন শিখবি তখন৤
ঠেলায় পড়ে ঢেলায় সেলাম৤
ঠেলার নাম বাবাজি৤


ডুব দিয়ে খাই পানি আল্লা জানে আর আমি জানি৤
ডুব দিয়ে জল খেলে অমাবস্যার বাপেও জানে না৤
ডুবেছি না, ডুবতে আছি, দেখি পাতাল কত দূর?
ডুমুরের ফুল, সাপের পা৤
ডাইনে আনতে বাঁয়ে কুলোয় না৤
ডাইনের কোলে পুত্র সমর্পণ৤
ডাকলে ডাক, বসলে ক্রোশ, পথ বলে মোর কিসের দোষ৤
ডাঙায় বাঘ জলে কুমির৤
ডানের মায়া বোঝা ভার৤
ডোবা দেখলেই ব্যাঙ লাফায়৤
ডোল ভরা আশা, কুলো ভরা ছাই৤


ঢাক বাজিয়ে ইঁদুর ধরা৤
ঢাকী সুদ্ধ বিসর্জন৤
ঢাকের কাছে ট্যামটেমি৤
ঢাকের দায়ে মনসা বিক্রি৤
ঢাকের বাদ্যি থামলে মিষ্টি৤
ঢাল নাই, তরোয়াল নাই, নিধিরাম সর্দার৤
ঢিল দিয়ে ঢিল টেনে আনা৤
ঢিলটি মারলেই পাটকেলটি খেতে হয়৤
ঢেঁকি কেন গাঁ বেড়াক না, গড়ে পড়লেই হল৤
ঢেঁকি ভজে’(ভজনা করে) স্বর্গে যাওয়া যায় না৤
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে৤
ঢেঁকির কচকচি আর ঢাকের বাদ্যি চুপ করলেই ভাল৤
ঢেঁকিশাল দিয়ে কটক যাওয়া৤
ঢেঁকিশালে যদি মানিক পাই, তবে কেন পর্বতে যাই৤
ঢেউ দেখে লা’[ল’=না=নৌকো] ডুবিও না৤




তুক তাক ছয় মাস, কপালে যা বারো মাস৤
তৃণবন্মন্যতে জগৎ[জগৎকে তৃণের মতো দেখে]৤
তপ্ত জলে ঘর পোড়ে না৤
তপ্ত ভাতে নুন জোটে না, পান্তা ভাতে ঘি৤
তুফানে ছেড়ো না হাল, নৌকা হবে বানচাল৤
তুফানে যে হাল ধরে না, সেই বা কেমন নেয়ে, কথা পাড়লে বুঝতে পারে না, সেই বা কেমন মেয়ে৤
তুমি খাও ভাড়ে জল আমি খাই ঘাটে৤
তুমি ফের ডালে ডালে আমি ফিরি পাতায় পাতায়৤
তুলো যেমন শুনতে নরম,বুনতে তেমন নয়৤
তৃষ্ণা এগোয় না জল এগোয়(কার গরজ বেশি?)৤
তস্মিন্ তুষ্টে জগৎ তুষ্টম্৤
তাত সয়,তবু বাত সয় না৤
তাঁতী রাগে কাপড় ছেঁড়ে, আপনার ক্ষতি আপনি করে৤
তাঁতীকুলও গেল, বৈষ্ণবকুলও গেল৤
তাপ বাড়ে ঝোপে আর খেজুর বাড়ে কোপে৤
তাল প্রমাণ বাড়ে, তিল প্রমাণ কমে৤
তাল, তেঁতুল, মাদার, তিনে দেখায় আঁধার৤
তালগাছের আড়াই হাত৤
তাস, তামাক, পাশা, এ তিন কর্ম/সর্ব নাশা৤
তিন জন জানে তো ত্রিশ জন জানে৤
তিন নকলে আসল খাস্তা৤
তিন মাথা যার, বুদ্ধি নেবে তার৤
তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকা৤
তিল কুড়িয়ে তাল৤
তিলক কাটলেই বৈষ্ণব হয় না৤
তিলকে তাল করা৤
তীর্থের কাকের মতো বসে থাকা৤
তীরে এসেও হাল ছেড়ো না৤
তে হি নো দিবসা গতাঃ[সেই (সুখের) দিন চলে গেছে]৤
তেল দাও, সিঁদুর দাও, ভবি ভোলবার নয়৤
তেলা মাথায় ঢাল তেল, রুখু মাথায় ভাঙ্গ বেল৤
তেলা মাথায় তেল দিতে সবাই পারে৤
তেলাপোকা আবার পাখি, ভেরেণ্ডা আবার গাছ৤
তেলে জলে মিশ খায় না৤
তেলে জলেই মানুষের শরীর৤
তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠা৤
তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে৤
তোর শিল, তোর নোরা, তোরই ভাঙি দাঁতের গোড়া৤


থলির মধ্যে হাতি পোরা৤
থাক রে কুকুর আমার পাশে(মনের আশে), ভাত দেব সেই পৌষ মাসে৤
থাকলে সোনার মান হয় না, হারালে সোনার মান৤
থাকে যদি চুড়ো বাঁশি, মিলবে রাধা হেন কত দাসী৤
থোড় বড়ি খাড়া, খাড়াবড়ি থোড়৤
থোঁতা মুখ ভোঁতা৤


দু’ নৌকায় পা দিলে পড়বে শেষে অগাধ জলে৤
দই খাবে মেধো, কড়ি দেবে সেধো৤
দুই স্ত্রী যার, বড় দুখ তার৤
দুই সতীনে ঘরকন্না, ঘরের গিন্নি ভাত পান না(গিন্নি=এখানে শাশুড়ি)৤
দুই হাড়ি একত্র থাকলেই ঠোকাঠুকি৤
দক্ষিণদ্বারী ঘরের রাজা, পূর্বদ্বারী তার প্রজা, পশ্চিমদ্বারীর মুখে ছাই, উত্তরদ্বারীর খাজনা নাই৤
দুধ কলা দাও যত, সাপের বিষ বাড়ে ততো৤
দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষা৤
দুধ মেরে ক্ষীরটুকু৤
দুধকে দুধ জলকে জল৤
দধির অগ্র ঘোলের শেষ৤
দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে৤
দুধের সাধ(তৃষ্ণা) কি ঘোলে মেটে৤
দুনিয়াদারি মুসাফিরি, সেরেফ আনাগোনা৤
দু-নৌকায় পা৤
দয়া আছে মায়া আছে, গলা ধরে কাঁদি;আধ পয়সায় আটটি কলা পরাণ গেলে না দি’৤
দয়া করে দেয় নুন, ভাত মারে তিনগুণ৤
দরকার পড়লে খোঁড়াও লাফায়৤
দুর্গা বলে ঝুলে পড়৤
দুর্জনঃ প্রিয়বাদী চ নৈতদ্‌বিশ্বাসকারণম্; মধু তিষ্ঠতি জিহ্বাগ্রে হৃদয়ে তু হলাহলম৤
দুর্জনেরে পরিহরি, দূরে থেকে নমস্কারি৤
দুর্ভিক্ষ অল্পকাল স্মরণ থাকে চিরকাল৤
দল ভাঙলে যে, কৈ খাবে সে(দল=জলজ তৃণস্তূপ)৤
দশ দিন চোরের একদিন গেরস্থের৤
দশচক্রে ভগবান ভূত৤
দশপুত্র সম কন্যা যদি পাত্রে পড়ে৤
দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ৤
দশে যারে বলে ছি, তার প্রাণে কাজ কি?
দশের মুখে জয়, দশের মুখে ক্ষয়৤
দশের লাঠি একের বোঝা৤
দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো৤
দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথা,ঘনিয়ে বসে পাশে, কথা দিয়ে কথা লয়, প্রাণে বধে শেষে৤
দাঁড়ালে পোয়া, বসলে ক্রোশ, পথ বলে মোর কিসের দোষ?
দাঁড়িকে মাঝি করা, মরা গাঙে ডুবে মরা৤
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না৤
দাদারও চিঁড়ের ফলার৤
দান যেমন দক্ষিণাও তেমন৤
দায়ে পড়লে শালগ্রামের পৈতা বেচেও খায়৤
মিয়া বিবি রাজি তো কি করবে কাজি?
দায়ে পড়ে দা’ঠাকুর৤
দা’-এ বালি, কুড়ুলে শিল, ভাল মানুষকে ভাল কথা বজ্জাতকে কিল৤ দারিদ্র্যদোষো গুণরাশিনাশী৤
দিও কিঞ্চিৎ না কোরো বঞ্চিৎ৤
দিন কাটে তো রাত কাটে না৤
দিন গেল আলে ডালে, রাত হলে চেরাগ জ্বালে৤
দিন যাবে রবে না৤
দিন যায় তো ক্ষণ যায় না৤
দিন যায়, কথা থাকে৤
দিনগত পাপক্ষয়৤
দিনে তারা দেখা৤
দিনে বাতি যার ঘরে, তার ভিটায় ঘুঘু চরে৤
দিল্লিকা লাড্ডু, যো খায়া সো পস্তায়া, যো ন খায়া সো ভি পস্তায়া৤
দীয়তাং ভুজ্যতাম৤
দেখ্ তোর, না দেখ্ মোর৤
দেখছি কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার৤
দেখতে পেলে শুনতে চায় না৤
দেখব কত কালে কালে গোঁফ রেখেছে তোবড়া গালে৤
দেখাদেখি চাষ, লাগালাগি বাস৤
দেখে শেখে আর ঠেকে শেখে৤
দেদোর মর্ম দেদোয় জানে(দুঃখী)৤
দেব ধন, বুঝব মন, কেড়ে নিতে কতক্ষণ৤
দেবতার বেলা লীলাখেলা, পাপ লিখেছে মানুষের বেলা৤
দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ(নারীর মন অস্থিরমতি)৤
দেয় থোয় রেখে মান তারে বলি যজমান৤
দেশগুণে বেশ৤
দেশে নাই যা, ছেলে চায় তা৤
দেহের গুমর করো না ভাই এই আছে এই নাই৤
দৈবজ্ঞ যদি বলে ঠিক তবে কেন মাগে ভিখ?
দোয়া গাইয়ে চাট সই৤
দোষেগুণে সৃষ্টি, ঝড়ে জলে বৃষ্টি৤


ধুকড়ির ভিতর খাসা চাল৤
ধন জন যৌবন জোয়ারের জল কতক্ষণ?
ধন থাকলেই সিঁধের ভয়৤
ধন নাই, কড়ি নাই নিধিরাম পোদ্দার৤
ধন সোহাগী মরেন কুড়োর জাউ খেয়ে৤
ধন, জন, পরিবার, কেহ নহে আপনার৤
ধনীর চিন্তা ধন ধন, নিরেনব্বুইয়ের ধাক্কা, যোগীর চিন্তা জগন্নাথ,ফকিরের চিন্তা মক্কা৤
ধনীর মাথায় ধর ছাতি, নির্ধনের মাথায় মার লাথি৤
ধনে ধন দেখে, পুতে পুত দেখে৤
ধনে সুখ নয়, মনে সুখ৤
ধর কাছি তো ধরেই আছি৤
ধরতে ছুঁতে কিছুই নেই৤
ধর্ম হয় না করলেই উপাস৤
ধর্মস্য সূক্ষ্মা গতিঃ৤
ধর্মেণ হীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ৤
ধর্মের কল বাতাসে(আপনি)নড়ে, পাপ করলে ধরা পড়ে৤
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে৤
ধর্মের ভরা ভেসে উঠে, পাপের ভরা তল যায়৤
ধর্মো রক্ষতি ধার্মিকম্৤
ধরলে কোঁ কোঁ করে,ছেড়ে দিলে পাকসাট মারে[পাকসাট=পাখার ঝাপট, তথা আস্ফালন]৤
ধরি মাছ না ছুঁই পানি৤
ধরে আনতে বললে বেঁধে আনে৤
ধুলো মুঠা ধরতে সোনা মুঠা হয়৤
ধান একগুণ, ঘাস শতগুণ৤
ধান খায় কাকে, ব্যাঙের পায়ে দড়ি৤
ধান নাই চাল নাই, আন্দিরাম মহাজন৤
ধান ভানতে শীবের গীত৤
ধানের আগে উড়ি ফোলে[‘উড়ি’ একপ্রকার ধান]৤
ধার করে খায়, হেঁট মাথায় যায়৤
ধারে কাটে আর ভারে কাটে৤
ধীর জ্বাল, ঘন কাটি, তবে বলি দুধ আউটি৤
ধীর ধীর বোনে তাঁতি সকল জিনে৤
ধীর পানি পাথর কাটে৤
ধীরে রাঁধে ধীরে খায়, তবে খাওয়ার মজা পায়৤


ন চ দৈবাৎ পরং বলম্৤
ন দেবায়, ন ধর্মায়৤
ন নিম্বো মধুরায়তে৤
ন ভূতো, ন ভবিষ্যতি৤
ন যযৌ, ন তস্থৌ৤
ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি৤ পিতা রক্ষতি কৌমারে, ভর্তা রক্ষতি যৌবনে ;পুত্রশ্চ স্থবিরে ভাবে, ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি৤ নারী বাল্যে পিতার, যৌবনে ভর্তার এবং বার্ধক্যে পুত্রের অধীনে থাকিবেন৤ স্ত্রীগণের পক্ষে স্বাধীন হওয়া উচিত নয়৤ এখানে স্বাধীন বলতে যথেচ্ছাচারী বোঝাচ্ছে৤
ন সন্তোষাৎ পরং সুখম্৤
ন হি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ৤
নই কাজ তো খই ভাজ৤
নখে কাটে কচি কালে, ঝুনো হলে দাঁত না চলে৤
নখের ছিদ্রে কুড়াল লাগানো৤
নটে খেটে আড়াই মাস, সজনে ফলে বার মাস৤
নড়তে পারে না কামান ঘাড়ে৤
নূতন নূতন ন’কড়া, পুরানো হলে ছ’কড়া৤
নদী শুকোলেও রেখা থাকে৤
নদী, নারী, শৃঙ্গধারী_ এ তিনে না বিশ্বাস করি৤
নদীকূলে বাস ভাবনা বারোমাস৤
নদীর এক কূল ভাঙ্গে আর এক কূল গড়ে৤
নদীর মুখে বালির বাঁধ৤
নুন আনতে পান্তা ফুরায়৤
নুন খাই যার গুণ গাই তার৤
ননদেরও ননদ আছে(ননদ, ননদিনী, ননদী=স্বামীর বোন, নন্দাই=ননদের স্বামী, ভাজ= ভ্রাতার পত্নী, ভ্রাতৃ জায়া৤ সব কটি মেয়েদের দিক থেকে সম্পর্ক)৤
নবাব আর কি? নবাব খাঞ্জা খাঁ(মুর্শিদকুলি খাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী খান্ জাহান খান্)৤
নয় মণ তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না৤
ন্যাড়া ক’বার বেলতলা যায়?
নরক তো গুলজার৤
নরুনে তালগাছ কাটা৤
নরম কাঠে ছুতোরের বল৤
নরম মাটিতে বেড়াল আঁচড়ায়৤
নরানাং মাতুলক্রমঃ৤
নরের মন নারায়ণ জানেন৤
না আঁচালে বিশ্বাস নেই৤
না আছে আয়োজন, পাড়া ভরে নিমন্ত্রণ৤
না খেলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ৤
না চাইতে ছাতাটা পাই, চাইলে বুঝি ঘোড়াটা পাব৤
না দেখে চলে যায়, পায়ে পায়ে হোঁচট খায়৤
না পড়েই পণ্ডিত৤
না বুঝে ছিলাম ভাল, আধেক বুঝে পরান গেল৤
না বিয়িয়েই কানা’য়ের মা৤
না মরতেই ভূত?
নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো৤
নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমানো৤
নাকের উপরে এক বিঘৎ আর এক হাত!
নাকের জলে চোখের জলে হওয়া৤
নাকের বদলে নরুন৤
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা৤
নাচতে নেমে ঘোমটা টানা৤
নাচে ভাল পাক দেয় উল্টো৤
নাড়া বনে কেত্তন৤
নাতির নাতি স্বর্গের বাতি৤
নাদা পেটা হাঁদা রাম৤
না-দেওয়া কাঁঠালের শাওনে পাক(না দিতে চাইলে কাঁঠাল শ্রাবণে পাকে)৤
না-দেওয়ার চাল, আজ না কাল৤
নানা মুনির নানা মত৤
নাপিত দেখলে নখ বাড়ে৤
নাপিতের আসি, ধোপার বাসি৤
নাপিতের ষোল চোঙা বুদ্ধি৤
নামে ডাকে গুরু মশাই,লেজা মুড়োর জ্ঞান নাই৤
নামে তালপুকুর ঘটি ডোবে না৤
নামে ধর্মদাস, ধর্মের নাম নেই৤
নারীর বল চোখের জল৤
নাস্তিকের মুখে ধর্ম কথা৤
নাহংকারাৎ পরো রিপু৤
নিকুলে চুকুলে ঘর, কামালে(গোঁফহীন পরিচ্ছন্ন হলে) বর৤
নিকামায়ে(কামাই বা আয় করে না, কাজহীন) দর্জি ছেলের মুখ সেলাই করে৤
নিজের কোলে ঝোল টানা৤
নিজের চরকায় তেল দাও৤
নিজের দই কেউ টক বলে না৤
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ৤
নিজের পাঁটা যায় লেজে কাটা৤
নিজের পায়ে কুড়ুল মারা৤
নিজের ভাই ভাত পায় না শালীর তরে মণ্ডা৤
নিত্য চাষির ঝি বেগুন ক্ষেত দেখে বলে এ আবার কি?
নিত্য ভিক্ষা তনু রক্ষা৤
নিত্য রোগী দেখে কে, নিত্য নেই দেয় কে?
নিতে পারি খেতে পারি, দিতে পারি নে, বলতে পারি কইতে পারি, সইতে পারি নে৤
নিদান কালে হরিনাম৤
নিদানের বিধান নেই৤
নিবৃত্তরাগস্য গৃহং তপোবনম্৤
নিম তিত নিসিন্দে তিত,তিত মাকাল ফল;তার চেয়ে অধিক তিত বোন সতীনের ঘর৤
নিম তিত, নিশিন্দে তিত, তিত মাকাল ফল, তার চেয়ে তিত কন্যে বোন সতীনের ঘর৤
নিম তিত, নিসিন্দে তিত, তিত নিমের ফুল, তার চেয়ে তিত অধিক দুই সতীনের কুল৤
নিম নিসিন্দে যেথা, মানুষ মরে না সেথা৤
নিমক খেয়ে নিমক হারামি৤
নিমতলা দিয়ে যাওনি, নিমফল খাওনি?
নিয়তিঃ কেন বাধ্যতে৤
নির্গুণ পুরুষের ভোজন সার, করেন সদাই মার মার৤
নির্গুণ পুরুষের তিনগুণ ঝাল৤
নির্ধনের ধন হলে দিনে দেখে তারা৤
নির্ধনের ধন, অথর্বের যৌবন৤
নীচ যদি উচ্চভাষে, সুবুদ্ধি উড়ায় হেসে৤
নীরোগ শরীর যার বৈদ্যে করবে কি; পরের ভাতে বেগুন পোড়া, পান্তা ভাতে ঘি৤
নুন আনতে পান্তা ফুরায়৤
নেই নাক তার গোঁফের বাহার৤
নেই-মামার চেয়ে কানা মামা ভালো৤
নেকা আদুরে চালশে কানা, জল বলে খায় চিনির পানা৤
নেকা, বোকা, ঢিলে কাছা, তিনে প্রত্যয় করো না বাছা৤
নেঙটা নেই বাটপারের ভয়৤
নেড়া আর কি বেলতলায় যায়?
নেবু কচলাবে যত, হবে তেত ততো৤
নেবার কুটুম দেবার নয়৤
নেবার বেলায় পরিপাটি, দেবার বেলায় ফাটাফাটি৤
নেভবার আগে ক্ষণেক তরে, দীপ জ্বলে দপ করে৤
নেয়ের এক নাও, নিনেয়ের(যার নৌকো নেই) শতেক নাও৤
নেশাতে বুক ফাটে, কুকুরে মুখ চাটে৤


পুকুর চুরি৤
পচা আদা, ঝালের গাদা/পচা আদায় ঝাল বেশি৤
পচা শামুকে পা কাটে৤
পূজায় মন নেই নৈবিদ্যে চোখ৤
পূজার সঙ্গে খোঁজ নেই, কপাল জোড়া ফোঁটা৤
পুঁজি নেই তার পাঁজি আছে৤
পুঁজি ভেঙে খেতে ভাল, ভেটেন[ভাঁটি] গাঙে যেতে ভাল৤
পট্টবস্ত্রে গুঞ্জফল মূল্য নাহি হয়, ছিন্ন বস্ত্রে মোতির মূল্য নাহি হয় ক্ষয় [গুঞ্জফল=কুঁচ]৤
পুঁটি মাছের প্রাণ দেখতে দেখতে যান[অতি দুর্বল প্রাণ]৤
পড়ুক না পড়ুক পো’ সভায় নে’ গে’ থো৤
পড়ল কথা সভার মাঝে, যার কথা তার গায়ে বাজে৤
পড়শী না বঁড়শি৤
পড়শীর মুখ না আরশির মুখ৤
পড়িলে ভেড়ার শৃঙ্গে ভাঙ্গে হিরার ধার৤
পড়ে গেলে ছাগলেও চাট মারে৤
পুড়ে ঝুড়ে রাঁধুনি, ছিঁড়ে ছুঁড়ে কাটুনী৤
পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা৤
পড়ে পাওয়া টাকা, ষোল আনাই লাভ৤
পড়েছি তাফালে, যা থাকে কপালে[তাফাল=গুড় তৈরির উনুন]৤
পড়েছি মোগলের হাতে খানা খেতে হবে সাথে৤
পতির পায়ে থাকে মতি তবে তারে বলে সতী৤
পতির মরণে সতীর মরণ৤
পথ চলবে জেনে, কড়ি নেবে গুণে৤
পথি নারী বিবর্জিতা [পথের অপরিচিতা নারী দুর্জ্ঞেয়]৤
পথে পেলাম কামার, দা গড়ে দে আমার৤
পুনর্মূষিকো ভব৤
পুবে হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ; উত্তরে কলা, দক্ষিণে খোলা৤
পর কখনও আপন হয় না৤
পর তরফে খায় ঘি, তার আবার খরচ কি?
প্রদীপের কোলেই অন্ধকার/চেরাগের নীচেই অন্ধকার৤
পরপ্রত্যাশী, দু’পহর উপোসী৤
পর্বতের মুষিক প্রসব৤
পুরুষের দশ দশা, কখনও হাতি কখনও মশা৤
পরহস্তং গতা গতা৤ লেখনী পুস্তিকা জায়া পরহস্তং গতা গতা;যদি মা পুনরায়াতি ভ্রষ্টা নষ্টা চ মর্দিতা৤
পরহস্তগতং ধনম্৤ পুস্তকস্থ তু যা বিদ্যা পরহস্তগতং ধনম্;কার্যকালে সমুৎপন্নে ন সা বিদ্যা ন তদ্ধনম৤
প্রহারেণ ধনঞ্জয়৤
প্রাণ বড় না মান বড়?
পুরানো চাল ভাতে বাড়ে, পুরানো ঘিয়ে মাথা ঘাড়ে৤
পুরানো বসন ভাতি, অবলাজনের জাতি৤
পরিতে হইবে শাঁখা তবে কেন মুই বাঁকা?
পরের কথায় লাথি চাপড়, নিজের কথায় ভাত কাপড়[পরচর্চা না করে নিজের কাজে মন দাও গে৤
পরের ঘরে খায় দায়, আঠারো মাসে বছর যায়৤
পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করা৤
পরের ঘি পেলে, প্রদীপ দেয় দুয়ারে মেলে৤
পরের ঘোল খাবার লোভে নিজের গোঁফ কামানো৤
পরের চাল,পরের ডাল, নদে করেন বিয়ে৤
পরের ছেলে খায় এতটা, বেড়ায় যেন বাঁদরটা;নিজের ছেলেটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি৤
পরের জন্য গর্ত খোঁড়ে, আপনি তাতে পড়ে মরে৤
পরের জন্য ফাঁদ পাতে, আপনি পড়ে মরে তাতে৤
পরের দুধে দিয়ে ফুঁ, পুড়িয়ে এলেন নিজের মু(মুখ)৤
পরের দেখে তোল হাই, যা আছে তাও নাই৤
পরের ধনে পোদ্দারি লোকে বলে লক্ষ্মীশ্বরী৤
পরের ধনে বরের বাপ৤
পরের পুতে বরের বাপ৤
পরের পিঠে বড় মিঠে৤
পরের ভাতে কুকুর পোষা৤
পরের মুখে ঝাল খাওয়া৤
পরের মন আঁধার কোণ৤
পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা৤
পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙে নিজের গোঁফে তেল৤
পরের মাথায় দিয়ে হাত, কিরা করে নির্ঘাত৤
পরের মাথায় হাত বুলানো৤
পরের লেজে পড়লে পা তুলো পানা ঠেকে, নিজের লেজে পড়লে পা ক্যাঁক করে ওঠে৤
পরের সোনা দিও না কানে, কেড়ে নেবে হেচকা টানে৤
পরের হাতে ধন পেতে অনেক ক্ষণ৤
পা না ভিজল যার বড় কৈ(মাছ) তার৤
পাকা ঘুঁটি কাঁচানো৤
পাকা ধানে মই দেওয়া৤
পাখি পড়ানোর মতো পড়ানো৤
পাখির প্রাণ অল্পেই যান৤
পাগল কি গাছে ফলে, আক্কেলেতে পাগল বলে৤
পাগলা ভাত খাবি, না হাত ধোব কোথায়?
পাগলা সাঁকো নাড়িস নে, ভাল মনে করে দিয়েছিস৤
পাগলে কিনা কয়, ছাগলে কিনা খায়?
পাগলের গোবধে আনন্দ[গো বধ মহাপাপ]৤
পাঁচ দিন চোরের এক দিন সাধুর৤
পাঁচ পাগলের ঘর, খোদায় রক্ষা কর৤
পাঁচ শ’ জুতো গুণে খায়, ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যায়৤
পাঁঠার ইচ্ছেয় ঘাড়ে কোপ৤
পাতা চাপা কপাল, আর পাথর চাপা কপাল৤
পাতের ভাত কেড়ে নাওয়া৤
পাতের ভাতে পুষলাম যুগী, উলটে বলে পরবাস কি?
পাতের ভাতে পালে কুকুর, কুকুর ওঠে মাথার উপুর৤
পাথরে ঘুণ ধরে না৤
পাথরে পাঁচ কিল৤
পাথরে লেখা মুছলেও যায় না৤
পান পান্তা ভক্ষণ, ঐ তো পুরুষের লক্ষণ; আমি অভাগী তপ্ত খাই, কোন দিন বা মরে যাই৤
পান সাজতে জানে না, দু পায়ে আলতা৤
পান হতে চুন খসে না৤
পান্তা ভাত ফুঁ দিয়ে খাওয়া৤
পান্তা ভাতে নুন জোটে না, বেগুন পোড়ায় ঘি৤
পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়/উৎপাতের কড়ি চিৎপাতে যায়৤
পায়ের কাজ[লাথি] কি হাতে হয়?
পার হ’লে পাটনি শালা৤
পারা(পারদ) আর পাপে কার সাধ্য চাপে৤
পালাতে না পেরে মোড়লের বেহাই৤
পি পু ফি শু/ কত রবি জ্বলে রে, কে বা আঁখি মেলে রে৤
পিঠা খায় মিঠার জোরে, হাত নাড়ে নানীর[=পিতামহী] জোরে৤
পিঠে বেঁধেছি কুলো, কানে দিয়েছি তুলো৤
পিতল সরা জাঁকে ভরা৤
পিতলের কাটারি, কাজে নেই ধার, ঝকমকই সার৤
পিন্ডি পায় না, কেত্তন চায়৤
পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে৤
পিসি বলো মাসি বলো, মার বাড়া নাই; পিঠে বলো মিঠা বল, ভাতের বাড়া নাই৤
পেট জ্বলে ভাতের তরে, সোনার আংটি হাতে পরে৤
পেটে খেলে পিঠে সয়, মরা পেটে বড় ভয়৤
পেটের আগুনে বেগুন পোড়ে৤
পেটের বাছা বাড়ির গাছা[গাছ]৤
পেঁয়াজও গেল, পয়জারও হল/পেঁয়াজ পয়জার দুই হল৤
পৈতা পুড়িয়ে সন্ন্যাসী/ব্রহ্মচারী৤
পোড়া কপালে সুখ নাই, বিয়ে বাড়িতে ভাত নাই৤
পোষের শীত মোষের গায়, মাঘের শীত বাঘের গায়৤


ফকিরে ফকিরে ভাই ভাই, ফকিরের রাজত্ব সব ঠাঁই৤
ফুটনির মামা, ভিতরে ক্লেদ, উপরে জামা৤
ফরসা কাপড়ে মান বাড়ে৤
ফুরালো বাগানের আম কি খাবিরে হনুমান?
ফুললো আর মলো৤
ফলেন পরিচীয়তে৤
ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যায়৤
ফুলের শোভা ভোমরা, গাই-এর শোভা চামড়া৤
ফাঁক পেলে সবাই চোর৤
ফোঁপরা ঢেঁকির শব্দ বেশি৤
ফাগুনে আগুন, চৈতে মাটি, বাঁশ রেখে বাঁশের পিতামহকে কাটি৤
ফ্যান দিয়ে ভাত খায়, গল্পে মারে দই, মেটে হুঁকোয় তামাক খায়, গুড়গুড়িটা কই?
ফেল কড়ি মাখ তেল তুমি কি আমার পর?
ফোতো বাবুর গালগল্প সার৤


বউ উঠতে ঠাঁই পায় না, উঠান জোড়া দাসী৤
বউ জব্দ শিলে, ঝি জব্দ কিলে, পাড়াপড়শী জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে৤
বউ ভাঙলে সরা গেল পাড়া পাড়া, গিন্নি ভাঙলে নাদা [কলসি], ও কিছু নায় দাদা৤
বউ-এর রাগ বিড়ালের উপর, বিড়ালের রাগ বেড়ার উপর৤
বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না৤
বকঃ পরমধার্মিকঃ/ বক ধার্মিক৤
বুকে ব’সে দাড়ি ওপড়ানো৤
বগলে কাস্তে দেশময় খোঁজে৤
বগলে ছুরি মুখে রাম নাম৤
বচনে জগৎ তুষ্ট, বচনে জগৎ রুষ্ট৤
বজ্র আঁটুনি ফস্‌কা গেরো৤
বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি৤ বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি, লোকোত্তরাণাং চেতাংসি কোহি বিজ্ঞাতুমীশ্বরঃ৤
বুঝতে পারি সেকরার ঠার, বলে এক করে আর৤
বড় গাছেই ঝড় লাগে৤
বড় গাছের তলায় বাস, ডাল ভাঙলেই সর্বনাশ৤
বড় ঘর বড় কথা, গরিবের ছেঁড়া কাঁথা৤
বড় ঘর বড় কথা, বললে কাটা যায় মাথা৤
বড় বড় বানরের বড় বড় পেট লংকায় যেতে তারা মাথা করে হেঁট৤
বড় বিয়ে তার দুপায়ে আলতা৤
বড় মুখ ছোট হওয়া৤
বড় মাছের কাঁটা আর ঘন দুধের ফোঁটা৤
বড় হবে তো ছোট হও৤
বড়র পিরিতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণে চাঁদ৤
বড়লোকের আঁস্তাকুড়ও ভালো৤
মড়া মেরে খুনের দায়৤
বুড়ো শালিক পোষ মানে না৤
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ৤
বুড়ো হল বক চেনে না৤
বুদ্ধিগুণে হা ভাত, বুদ্ধিগুণে খা ভাত৤
বৃদ্ধস্য বচনং গ্রাহ্যমাপৎকালে হ্যপস্থিতে৤
বন পোড়ে সবাই দেখে, মন পোড়ে কেউ না দেখে৤
বনগাঁয়ে শেয়াল রাজা৤
বন্ধ্যা নারীর অন্ধ পুত্র চাঁদ দেখতে পায়৤
বন্ধ্যা নারীর পুত্র শোক৤
বনের রক্ষক বাঘ, বাঘের রক্ষক বন৤
বুনলাম ধান, হল তিল, ফলল রুদ্রাক্ষ, খেলাম কিল৤
বয়সে চুল পাকে, কিন্তু বুদ্ধি পাকে না৤
বরকনের দেখা নেই বুধবারে বিয়ে৤
বরমেকোগুণীপুত্রো ন চ মুখ শতান্যপি;একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি ন চ তারাগণা অপি৤
বর্ষণ নেই গর্জন সার৤
বরের ঘরের মাসি, কনের ঘরের পিসি৤
বল বুদ্ধি ভরসা, তিন তিরিশে ফরসা৤
বল মা তারা দাঁড়াই কোথা?
বলা সহজ, করা কঠিন৤
বলীর ঘাম, নির্বলীর ঘুম৤
বলে দুধ, বেচে ঘোল৤
বসতে জায়গা পেলে, শোবার জায়গা মেলে৤
বসতে পেলে শুতে চায়৤
বসুধৈব কুটুম্বকম্৤
বসে খেলে কুলোয় না, করে খেলে ফুরোয় না৤
বসে না থাকি বেগার খাটি৤
বসে বসে লেজ নাড়া৤
বহু সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট৤
বহ্বারম্ভে লঘু ক্রিয়া৤
বাইরে হাশিখুশি ভিতরে গরল রাশি৤
বাউলের ঘরে গরু৤
বাঘ-ভালুকের রাজ্যে থাকি মনের কথা মনেই রাখি৤
বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা৤
বাঘে বলদে এক ঘাটে জল খায়৤
বাঘে সিংহে যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়৤
বাঘের আবার গোবধ[অর্থাৎ গো বধ করে পাপ!]৤
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা৤
বাঘের দেখা সাপের লেখা৤
বাঘের যোগ্য বাঘিনী
বাঘেরও চক্ষু লজ্জা আছে৤
বাঁচলে কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার;বিড়ালের কপালে টিকে, বাঁদর বেড়ায় হলুদ মেখে৤
বাছার আমার এত বাড়, ছ’আনার কাপড়ে ন’আনার পাড়৤
বাজাতে বাজাতে বাইন, গাইতে গাইতে গাইন৤
বাড়িতে পায় না শাক সজিনা, ডাক দিয়ে বলে ঘি আন না৤
বাড়ির মধ্যে এক ঘর, তার আবার সদর অন্দর৤
বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীস্তদর্ধং কৃষি-কর্মণি;তদর্ধং রাজসেবায়াৎ ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ৤
বানরের গলায় মুক্তার মালা৤
বাপ জানে না, মা জানে না, হোগল বনে বিয়ে৤
বাপকা বেটা সিপাই কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া৤
বাপের জন্মে (কালে) চড়িনি ডুলি, ভেঙে গেল মোর পাছার খুলি, নামা ডুলি নামা ডুলি৤
বাপের জন্মে নেইকো চাষ, ধানকে বলে দুব্বো ঘাস৤
বাবু মরেন শীতে আর ভাতে৤
বাবা পেটে, মা হাটে, আমি তখন বছর আটে৤
বাবার কালে নেইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই৤
বাবারও বাবা আছে৤
বামুন গেল ঘর তো লাঙল তুলে ধর৤
বামন হয়ে চাঁদে হাত৤
বামুনের গরু খায় অল্প, নাদে বেশি, দুধ দেয় কলসি কলসি৤
বামুনের ভাতে থাকা(কম পরিশ্রম)৤
বার কাঁদি নারিকেল, তের কাঁদি কলা;আজ আমাদের রানির উপোসের পালা৤ বারটা ঝাড়লুম তেরটা ম’ল, তুই না মরে অপযশ হল(হাতুড়ে চিকিৎসক)৤
বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবার তোমার আমি বধিব পরাণ৤
বার মাসে তের পার্বণ৤
বার রাজপুতের তের হাঁড়ি,কেউ খায় না কারও বাড়ি৤
বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি৤
বাঁশ বনে ডোম কানা(সিদ্ধান্ত নিতে পারে না)৤
বাঁশ মরে ফুলে, মানুষ মরে ভুলে৤
বাঁশি হারিয়ে শিঙায় ফুঁ৤
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়৤
বাহিরে কেঁচোর পত্তন ভিতরে ছুঁচোর কীর্তন৤
বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া৤
বিদ্বান্ সর্বত্র পূজ্যতে৤
বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্৤
বিদ্যারত্নং মহাধনম্৤ জ্ঞাতিভির্বণ্ট্যতে নৈব, চৌরেণাপি ন নিয়তে;দানেন ন ক্ষয়ং যাতি বিদ্যারত্নং মহাধনম্৤
বিধি যদি বিপরীত, কেবা করে তার হিত৤
বিধির লিখন না যায় খণ্ডন৤
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি পুকুরের সৃষ্টি৤
বিনা দানে মথুরা পার৤
বিনা মেঘে বজ্রাঘাত৤
বিপদ কখনও একা আসে না৤
বিপদে শিবের গোঁড়া, সম্পদে শিব তো নোড়া৤
বিমাতা বিষের ঘর৤
বিয়ে ফুরুলে ছাঁদলায় লাথি৤
বিয়ে ফুরুলে বাজনা, কিস্তি ফুরুলে খাজনা৤
বিলম্বে কার্য সিদ্ধি৤
বিশ্বকর্মা কত কারিগর তা জগন্নাথেই প্রকাশ৤
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু(কৃষ্ণ) তর্কে বহু দূর৤
বিশ্বাসো নৈব কর্তব্যঃ স্ত্রীষু রাজকুলেষু চ৤
বিষ খেয়ে বিশ্বম্ভর৤
বিষ নেই কুলোপানা চক্কর৤
বিষকুম্ভং পয়োমুখম্৤ পরোক্ষে কার্য-হন্তারং প্রত্যক্ষে প্রিয়বাদিনম্; বর্জয়েৎ তাদৃশং বন্ধুং বিষকুম্ভং পয়োমুখম্৤
বিষবৃক্ষোঽপি সংবর্ধ্য স্বয়ং ছেত্তুমসাম্প্রতম্৤
বিষে বিষ ক্ষয়৤
বে-আক্কেলে কয় সংসার আমার নয়৤
বেকারের চেয়ে বেগার ভাল৤
বেগুন গাছে আঁকশি৤
বেগারের দৌলতে গঙ্গাস্নান৤
ব্যাঙ বলে সাপকে_ কারও কড়ি ধারি না[নিষ্ফল আস্ফালন]৤
ব্যাঙের আবার সদির্‍?
ব্যাঙের নাকে মিনের নোলক৤
ব্যাঙের মাথায় ছাতি৤
বেদেয় চেনে সাপের হাঁচি৤
বেদের মরণ সাপের হাতে৤
বেঁধে মারে সয় ভাল৤
বেনা বনে মুক্তা ছড়ানো৤
বেনের কাছে মেকি চালানো৤
বেনো জল ঢুকিয়ে খরো’ জল বের করা৤
বেল পাকলে কাকের কি?
বেহায়ার নাহি লাজ, নাহি অপমান;সুজনকে এক কথা মরণ সমান৤
বৈষ্ণব হইতে বড় হয়েছিল সাধ, তৃণাদপি শুনে মনে লেগে গেছে তাক৤
বোঝার উপরে শাকের আঁটি৤
বৌ না বোবা, বৌ না বাবা৤


ভক্তিহীন ভজন আর লবণহীন ব্যঞ্জন৤
ভগবানের মার দুনিয়ার বার৤
ভজনের সঙ্গে খোঁজ নেই, ভোজন ছত্রিশ জাতে৤
ভূতের আবার গঙ্গাস্নান৤
ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ৤
ভূতের বেগার খাটা৤
ভূতের বোঝা বওয়া৤
ভূতের মুখে রাম নাম৤
ভবি ভোলবার নয়৤
ভবিতব্যং ভবত্যেব৤
ভবের খেলা সাঙ্গ হল৤
ভরাডুবির মুঠা লাভ৤
ভস্মে ঘি ঢালা৤
ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই৤
ভাগ্যং ফলতি সর্বত্র, ন চ বিদ্যা ন পৌরুষম্৤
ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয়৤
ভাগাড়ে মড়া পড়ে, শকুনির টাক নড়ে৤
ভাগের ভাগ পেলে, না খেয়েও চিবিয়ে ফেলে৤
ভাগের মা গঙ্গা পায় না৤
ভাঙ্গবে তবু মচকাবে না৤
ভাঙ্গা ঘরে জোছনার আলো, যে দিন যায় সে দিন ভালো৤
ভাঙ্গা ঘরে বাস ভাবনা বারো মাস৤
ভাঙ্গা ঘরে ভূতের বাসা৤
ভাঙ্গা পা খানায় পড়ে৤
ভাজা মাছ উলটে খেতে জানে না৤
ভাঁড়ে নেই ঘি, ঠকঠকালে হবে কি?
ভাত কখনও পেট খোঁজে না৤
ভাত কাপড়ের কেউ নয়, কিল মারার গোঁসাই৤
ভাত খাই কাঁসি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না৤
ভাত খাও ভাতারের, গুণ গাও নাঙ্গের৤
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব নেই৤
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব?
ভাত দেবার ভাতার নয়, কিল মারার গোঁসাই৤
ভাত পায় না কুঁড়ের নাগর, আমানি খেয়ে পেটটা ডাগর৤
ভাত রোচে না, রোচে মোয়া, মণ্ড রোচে পোয়া পোয়া৤
ভাতের খিদে কি অন্য কিছুতে মেটে৤
ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন৤
ভাবে ডগমগ তেলাকুচো, হেসে ম’লো রে ভুঁই-ছুঁচো৤
ভাল করতে পারি না, মন্দ করতে পারি৤
ভাল লোকের কিল চুরি৤
ভালুক চেনে শালুক ফুল
ভিক্ষুকের এক দোর বন্ধ, শত দোর খোলা৤
ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ৤
ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া৤
ভিন্নরুচির্হি লোকাঃ৤
ভীষ্ম,দ্রোণ,কর্ণ গেল শল্য হল রথী, চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল জোনাকির পাছে বাতি৤
ভূত দিয়ে ভূত ছাড়ানো৤
ভেক না নিলে ভিখ মেলে না৤
ভেরেণ্ডাও বৃক্ষ৤
ভেড়ার গোয়ালে বাছুর মোড়ল৤
ভেলায় সাগর পার৤
ভোজনং যত্র কুত্রাপি শয়নং হট্ট মন্দিরে;মরণং গোমতীতীরেঽপরং বা কিং ভবিষ্যতি৤


মুখ না থাকলে শেয়ালে খেত৤
মুখ পুড়িয়ে লঙ্কায় আগুন৤
মুখচোরা বামুন, কেশোরোগী চোর৤
মুখটি যেন ভাজার খোলা, খই ফুটছে ফোলা ফোলা৤
মুখে খুব মিঠে, নিম নিসিন্দে পেটে৤
মুখে মধু হৃদে ক্ষুর, সেইত হয় বিষম ক্রূর৤
মুখে রামনাম বগলে ছুরি৤
মুখেন মারিতং জগৎ৤
মুখের চোটে গগন ফাটে৤
মঘা, এড়াবি ক’ ঘা?
মুচি হয়ে শুচি হয় যদি হরি ভজে, শুচি হয়ে মুচি হয় যদি হরি ত্যজে৤
মুচির নাই নাক (চামড়ার গন্ধ), শুঁড়ির নাই কান(মাতালের কদর্য উক্তি)৤
মটরের চাপে মুসুরি চেপ্টা৤
মুড়া কোদালে দিঘি কাটা৤
মড়া মেরে খুনের দায়৤
মড়ার উপরে খাড়ার ঘা৤
মুড়ি মিছরির এক দর৤
মুড়ি[মাথা] আর ভুঁড়ি সকল রোগের গুঁড়ি৤
মুণ্ডমালার দাঁত কপাটি সার৤
মদ খায় না, মদে খায়?
মদ্দ বড় তেজী, ধরবেন বনের বেজি৤
মধুপান করতে পারি, মাছির কামড় সইতে নারি৤
মধ্বভাবে গুড়ং দদ্যাৎ৤
মধুরেণ সমাপয়েৎ৤
মন চায় বাদশা হতে, খোদার দোয়া মেগে খেতে৤
মন ভাল নয় তীর্থ করে, মিছে কাজে ঘুরে মরে৤
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন৤
মনবো ঠাকুর দেব না, আমার পিত্যেশ কোরো না৤
মনিব গেলে ঘোল পায় না, বিশেকে পাঠায় দুধের তরে৤
মুনীনাঞ্চ মতিভ্রমঃ৤
মনে বড় সাধ, চড়ব বাঘের কাঁধ৤
মনে মনে লঙ্কা ভাগ৤
ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক৤
ময়রার ছেলে গুড় খায় না৤
মূর্খ লোকে কেনে বই, জ্ঞানবানে পড়ে;ধনবানে কেনে ঘোড়া,বুদ্ধিমানে চড়ে৤ মূর্খস্য নাস্ত্যৌষধম৤
মরণকালে হরিনাম৤
মরণের বাড়া গাল নাই৤
মরবে মেয়ে উড়বে ছাই, তবে মেয়ের গুণ গাই৤
মরা কাকের আবার মড়কের ভয়?
মরা মালঞ্চে ফুটল ফুল, টাকে আবার উঠল চুল৤
মরি তাহে খেদ নাই, কাঁটা বন দিয়ে না টানে৤
মূলা চোরের ফাঁসি৤
মূলে নেই লক্ষ্মী পূজো, একেবারে দশভুজো৤
মশা মারতে কামান দাগা৤
মশা মেরে হাত কাল৤
মশালচী আপনি কানা৤
মশালের কাছে চেরাগের আলো৤
মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ৤
মা কুরু ধনজনযৌবনগর্বম্৤
মা ডাকলে খেলাম না, বাবা ডাকলে খেলাম না, সাত পুরুষের ঢেঁকি বলে, পান্তা খা, পান্তা খা৤
মা পায় না কাঁথা-সেলাইয়ের সুতো, ব্যাটার পায়ে চৌদ্দ সিকের জুতো৤
মা বলেছে আমার নাকি মাথা ধরেছে৤
মা লক্ষ্মী ভিক্ষা মাগে৤
মা’য় কয় খা, বাপে কয় ল্যাখ, নামটি আমার আবদুল খালেক৤
মাছের কাঁটা গলায় বাঁধলে বিড়ালের পায়ে গড়৤
মাছের তেলে মাছ ভাজা৤
মাছের মায়ের পুত্রশোক৤
মাতৃবৎ পরদারেষু পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ; আত্মবৎ সর্বভূতেষু যঃ পশ্যতি স পণ্ডিতঃ৤
মাতা শত্রুঃ পিতা বৈরী, যেন বালো ন পাঠিতঃ৤
মাথা নেই তার মাথা ব্যথা৤
মাথায় লাথি মেরে পায়ে গড়৤
মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল৤
মানুষ গড়ে, বিধাতা ভাঙে৤
মানুষে মানুষ চেনে, শুয়োরে চেনে কচু৤
মামা কানা আমি চোখে দেখিনে৤
মায়ের গলায় দিয়ে দড়ি, বউকে পরাই ঢাকাই শাড়ি৤
মায়ের চেয়ে দরদ বেশি তারে বলি ডান৤
মায়ের পোড়ে না মাসির পোড়ে, পাড়া পড়শীর কেতন ওড়ে৤
মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার৤
মারের চোটে ভূত পালায়৤
মারো আর ধরো পিঠে দিয়েছি কুলো, বকো আর ঝকো কানে দিয়েছি তুলো৤
মিছরির ছুরি৤
মিছে কর আম্বা, যা করেন জগদম্বা৤
মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ৤(বিবাহকালে) কন্যা কাময়তে রূপং, মাতা বিত্তং, পিতা শ্রুতম্[বিদ্যা];বান্ধবাঃ কুলমিচ্ছন্তি, মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ৤
মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভেজে না৤
মেও ধরবে কে?
মেগে এনে বিলিয়ে খায় হাতে হাতে স্বর্গ পায়৤
মেঘ না চাইতেই জল৤
মেজে ঘষে হল ক্ষয়, কালো কি তবু ধলো হয়৤
মেয়েদের শ্বশুর বাড়ি বলে কিছু নেই, সেটাই তার বাড়ি; বাপের বাড়ি বেরু বাড়ি৤
মেয়ের মায়ের পাঁচটা প্রাণ৤
মেরে তুলোধোনা করা৤
মোগল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি৤
মোগল পাঠান হদ্দ হল, ফারসি পড়েন তাঁতি, বাঘ পালাল বিড়াল এল, শিকার করতে হাতি৤
মোল্লার দৌড় মসজিদ অবধি/পর্যন্ত/তক৤
মৌনং সম্মতি লক্ষনম্৤


যঃ পলায়তি স জীবতি৤
যকের চোখে ঘুম নাই৤
যখন আদর জুটে, ফুটকলাই দিয়ে ফুটে; যখন আদর টুটে, ঢেঁকি দিয়ে কুটে৤ যখনকার যা তখনকার তা৤
যখন তখন করে পাপ, সময় বুঝে ফলে পাপ৤
যখন বিধি মাপায়, তখন উপরি উপরি মাপায়৤
যখন যার কপাল ধরে শুকনো ডাঙায় ডিঙি সরে৤
যখন যার তখন তার৤
যখন যার পড়তা হয়, ধুলোমুঠো ধরে সোনামুঠো হয়৤
যখন যেমন তখন তেমন৤
যজমানী বামুনের অন্নাভাব নেই৤
যত কর তাড়াতাড়ি, খেয়াঘাটে গড়াগড়ি৤
যত কর পুতু পুতু, ততো হয় ছোলার ছাতু৤
যত গর্জে ততো বর্ষে না৤
যত দোষ নন্দ ঘোষ৤
যত পাই ততো খাই৤
যত বড় মুখ নয়, ততো বড় কথা৤
যত মত, ততো পথ৤
যত সয় ততো রয়৤
যত হাসি ততো কান্না, বলে গেছে রামশর্মা৤
যতই কর শিব সাধনা, কলঙ্কিনী নাম যাবে না৤
যতই করিবে দান ততো যাবে বেড়ে[বিদ্যা]৤
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ৤
যতন নহিলে নাহি মিলয়ে রতন৤
যম জামাই ভাগনা এ তিন নয় আপনা৤
যতো ধর্ম স্ততো জয়ঃ৤
যথারণ্যং তথা গৃহম্৤
যদ্ দৃষ্টং তল্লিখিতম্৤
যদু ধোপা, মধু ধোপা, সব ধোপারই এক চোপা৤
যুদ্ধের পরে সেপাই হাজির৤
যদি থাকে আগে পিছে, কি করে শাকে মাছে(আগে ঘি শেষে দুধ থাকলে)৤
যদি দেখে আঁটা আঁটি কাঁদিয়া ভিজায় মাটি৤
যদি বর্ষে আগনে, রাজা যায় মাগনে৤
যদি হয় সুজন, তেঁতুল পতায় ন’জন৤
যদি হয় সোনার ভাগারি,তবু ধরে লোহার কাটারি৤
যস্মিন্ দেশে যদাচারঃ৤
যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে৤
যাকে রাখ সেই রাখে৤
যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা৤
যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্ধির্ভবতি তাদৃশী৤
যাবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ; ভস্মীভূতস্য দেহস্য পুনরাগমনং কুতঃ৤
যার আছে মাটি,তারে নাহি আঁটি৤
যার কাজ তারে সাজে, অন্য লোকে লাঠি বাজে৤
যার কেউ নেই তার ভগবান আছে৤
যার গলা ধরে কাঁদি, তার নাহি পানি৤
যার ছেলে যত পায়, তার ছেলে ততো চায়৤
যার জন্য করি চুরি সে-ই বলে চোর৤
যার দৌলতে চুয়া চন্দন, তারি পাতে খোলার ব্যঞ্জন৤
যার ধন তার ধন নয়, নেপোয় মারে দই৤
যার নুন খাই তার গুণ গাই৤
যার বিয়ে তার মন নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই৤
যার বিয়ে তার মন নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই৤
যার যা রীত,ছাড়ে কদাচিৎ৤
যার শিল, যার নোড়া, তারই ভাঙি দাঁতের গোড়া৤
যারে না বামুন বলি তার গায়ে নামাবলী৤
যারে বললে ছি, তার রইল কি?
যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন৤
যে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে সে কুকুর কামড়ায় না৤
যে কথা রটে, তার কতক বটে৤
যে বাতাসে দাবানল বাড়ে, সেই বাতাসেই প্রদীপ নেভে৤
যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ৤
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে৤
যে সহে সে রহে৤
যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়৤
যেখানেই আঁটাআঁটি, সেখানেই লাঠালাঠি৤
যেন তেন প্রকারেণ৤
যেমন কর্ম তেমনি ফল, মশা মারতে গালে চড়৤
যেমন সরা, তেমনি হাঁড়ি, গড়ে রেখেছে কুমোর বাড়ি৤
যোগ্যং যোগ্যেন যুজ্যতে৤


রুক্ষ মাথায় তেল দেয় না, তেলা মাথায় তেল৤
রক্ষকে ভক্ষণ করে, কে তারে রাখতে পারে?
রঙ থাকলে রাঙা কড়ি, রঙ ফুরোলে গড়াগড়ি৤
রতনে রতন চেনে৤
রথ দেখা আর কলা বেচা৤
রূপে ঢল ঢল গুণে পশরা, কেঁদে ম’ল যত ভুঁইছুঁচোরা৤
রাই কুড়িয়ে বেল৤
রাখে কৃষ্ণ মারে কে, মারে কৃষ্ণ রাখে কে?
রাজা থাকতে কোটালের দোহাই৤
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়৤
রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, স্ত্রীর দোষে স্বামীর কষ্ট৤
রাজার রাজপাট যোগী মুনির কাঁথা৤
রাজার রানি কানার কানী৤
রাজারও রায়ত নয়, সাধুরও খাতক নয়৤
রাত উপোসে হাতি পড়ে৤
রাঁধতে দেরি সয়, বাড়তে দেরি সয় না৤
রান্না খেতে কান্না পায়৤
রাম না হতে রামায়ণ৤
রাম ভজি কি রহিম ভজি?
রাম লক্ষণ দুটি ভাই, রথে চড়ে স্বর্গে যাই৤
রামের ভাই লক্ষণ আর কি!
রোগ মুড়িতে[মাথায়] আর ভুঁড়িতে৤
রোগের শেষ, আগুনের শেষ, শত্রুর শেষ, ঋণের শেষ, এ সবের শেষ রাখতে নেই৤
রোজার[ওঝা] ঘাড়ে বোঝা৤


লক্ষ্মীর ঘরে কাল পেঁচা৤
লক্ষ্মীর পো ভিখ মাগে গো৤
লুকিয়ে খেলে শুকিয়ে যায়৤
লঙ্কায় রাবণ ম’ল, বেহুলা কেঁদে রাঁড়ী হল৤
লজ্জা নেই যায়, রাজা হারে তায়৤
লম্বা কোঁচায় নমস্কার৤
ললাটলিপি খণ্ডন করা যায় না৤
লাউশাকের বালি, আর অন্তরের কালি৤
লাখ কথার ওপর এক কথা৤
লাখ টাকা লাখ টাকা, দুকুড়ি দশ টাকা৤
লাখ টাকায় বামুন ভিখারি৤
লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন৤
লাগে তুক্ না লাগে তাক্৤
লাজে বউ খান না, চালতা হেন গ্রাস৤
লাজের মাথায় পড়ুক বাজ, সাধ গিয়ে আপন কাজ৤
লাট সাহেব আর কি!
লাথ সয় তো বাত সয় না৤
লাথির কাজ কি চড়ে হয়?
লাথির ঢেঁকি কি চড়ে ওঠে?
লাথির ঢেঁকি মাথয় চড়ে৤
লাভে লোহা বয়৤
লাভের গুড় পিঁপড়েয় খায়৤
লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে, মৎস্য মারিব খাইব সুখে৤
লেখা নয় যেন আরশোলার পায়ের ছাপ৤
লেখা পড়া করে যেই, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সেই৤
লেগে থাকলে মেগে খায় না৤
লেঙটার নাই বাটপারের ভয়৤
লোকে বলে আছে ভাল, শালুক খেয়ে দাঁত কালো৤
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু৤
লোম বাছতে কম্বল উজাড়৤
লোহা পাথরে যুদ্ধ করে, শোলা দিদি পুড়ে মরে৤


শংকরাকে খেলে বাঘে, অন্যেরা কোথায় লেগে?
শক্ত মাটিতে বিড়াল আঁচড়ায় না৤
শক্তের তিনকুল মুক্ত৤
শক্তের ভক্ত নরমের যম/বাঘ৤
শুকনো ডাল ভাঙলেও নোয় না৤
শুকনো কাঠে ব্রহ্মশাপ৤
শুকনো গাছে জল সেঁচা৤
শুকনো ডাঙায় আছাড় খাওয়া৤
শঠে শাঠ্যং সমাচারেৎ৤
শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল৤
শতং বদ মা লিখ৤
শতং মাড়িং ভবেৎ বৈদ্যঃ, সহস্র মাড়িং চিকিৎসকঃ[মাড়িং=ঘোঁটানো]৤
শত্রুর মুখে ছাই দেওয়া৤
শত্রুর শেষ রাখতে নাই৤
শুধু কথায় চিঁড়ে ভেজে না৤
শুধু গৌর নয়, গৌরহরি৤
শুধু মেঘে মাটি ভেজে না৤
শূন্য কলসি বাজে বেশি৤
শনির দৃষ্টি হলে পোড়া শোলও পালায়৤
শনৈঃ পর্বত লঙ্ঘনম্৤
শ্বশুর বাড়ি মধুর হাঁড়ি, তিন দিন পরে ঝাঁটা বাড়ি৤
শ্বা যদি ক্রিয়তে রাজা, স কিং নাশ্নাত্যুপানহম্৤
শ্বেত চামর আর কোষ্টা পাট(এক নয়)৤
শুভস্য শীঘ্রম্ অশুভস্য কালহরণম্৤
শমন-দমন রাবণ রাজা, রাবণ-দমন রাম৤
শ্যাম রাখি না কুল রাখি?
শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়ে সেই বাঘে মানুষ মারে৤
শুয়োরের কপালে গঙ্গামাটির ফোঁটা৤
শ্রদ্ধার যা পাই হাত পেতে খাই৤
শরীরং খলু ব্যাধিমন্দিরম্৤
শরীরমাদ্যং খলু ধর্মসাধনম্৤
শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়৤
শসাবেচুনি বেচে শশা, তার হয়েছে সুখের দশা৤
শাক অম্বল পান্তা, তিন ওষুধের হন্তা৤
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা৤
শাক-চোরকে শূলে৤
শাঁখাহাতী শাখা নাড়ে, বেড়াল ভাবে ভাত বাড়ে৤
শাঁখের করাত আসতেও কাটে যেতেও কাটে৤
শানকির উপরে বজ্রাঘাত৤
শাপে বর হওয়া৤
শামুক দিয়ে সাগর সেঁচা৤
শাল চোরকে শূলে দেওয়া৤
শালুক চিনেছেন গোপাল ঠাকুর৤
শালগ্রাম পোড়ায়ে খেয়ে নুড়ি দেখে ভয়৤
শালগ্রামের শোয়া বসা সমান৤
শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢোকা৤
শিকল কাটা টিয়া পোষ মানে না৤
শিকারি বেড়ালের গোঁফ দেখলে চেনা যায়৤
শিখলি কোথা, না দেখলাম যেথা৤
শিখেছ কোথায়, ঠেকেছি যেথায়৤
শিব গড়তে বাঁদর হল৤
শিবের কন্যা শিবকে দান৤
শিবের সঙ্গে খোঁজ নেই গাজনের ঘটা৤
শিয়রে রাজা, কোটালের দোহাই৤
শিরে কৈলে সর্পাঘাত তাগা বাঁধবি কোথা?
শেয়ানা ঘুঘুর ছা, ফাঁদে দেয় না পা৤
শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি৤
শেয়ালের বাড়ি নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই৤
শেষ রক্ষাই রক্ষা৤


ষট্‌কর্ণে মন্ত্রভেদ৤
ষাঁড়ের শত্রু বাঘে মারে৤
ষেঠের বাছা ষষ্ঠীর দাস৤
ষোল আনা বাজিয়ে নেওয়া৤
ষোল আনাই ভুয়ো, ষোল কড়াই কানা৤
ষোল আনাই লাভ৤


স’য়ে থাকলে র’য়ে যায়৤
সংসর্গজা দোষগুণা ভবন্তি৤
সংসার আনন্দময় যার মনে যা লয়৤
সকল নোড়াই শালগ্রাম হলে হলুদ বাটি কিসে?
সকল পাখিতেই মাছ খায়, নাম পড়ে মাছরাঙার৤
সকল ব্রতই করলে যশী, বাকি আছে ভীম একাদশী৤
সখা যার সুদর্শন[কৃষ্ণ] তার সঙ্গে কি সাজে রণ?
সখি লো সখি আপনার মান আপনি রাখি৤
সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়৤
সুখের ঘরে রূপের বাসা৤
সুখের চেয়ে স্বস্তি ভাল৤
সুখের প্রাণ গড়ের মাঠ৤
সঙ্গদোষে কি না হয়, ছুঁচো ছুঁলে গন্ধ হয়৤
সজনে শাক বলে আমি সকল শাকের হেলা, আমার খোঁজ কেবল টানাটানির বেলা৤
সজনে শাকে নুন জোটে না, মসুর ডালে ঘি৤
সুঁচ গড়তে জানে না, বন্দুকের বায়না নেয়৤
সুঁচ গলে না কোদাল চালায়৤
সুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনো৤
সুঁচ, সোহাগা, সুজন, ভাঙ্গা গড়ে তিনজন৤
সুজন-পিরিত সোনা, ভেঙে গড়া যায়;কুজন-পিরিত কাচ, ভাঙিলে ফুরায়৤ সুদিনের বারো ভাই, কুদিনের কেউ নাই৤
স্ত্রিয়াশ্চরিত্রং পুরুষস্য ভাগ্যং দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ৤
স্ত্রী ভাগ্যে ধন, পুরুষ ভাগ্যে জন৤
স্ত্রী রত্নং দুষ্কুলাদপি৤
স্ত্রীবুদ্ধি প্রলয়ংকরী৤
সতী হল কবে, সে মরেছে যবে(মৃত্যুর পরে সতীত্বের নিশ্চয়তা প্রাপ্তি)৤ সত্যের দ্বারে আগড় নাই৤
সদরে সূঁচ চলে না, মফস্‌সলে[মফঃস্বল] হাতি চলে৤
সন্দেশের খোসা ফেলে খাওয়া৤
সন্ন্যাসীর অল্প ছিদ্র গায় সর্বজন, শুভ্রবস্ত্রে মসীবিন্দু দেখায় যেমন৤
সন্নেসি চোর, না বোঁচকায় ঘটায়৤
স্পষ্ট কথায় কষ্ট নাই৤
সফরী ফর্ফরায়তে৤ অগাধজলসঞ্চারী বিকারী ন চ রোহিতঃ; গণ্ডূষজলমাত্রেণ সফরী ফর্ফরায়তে৤
সব কাজে যার হুঁশ, তারে কয় মানুষ৤
সব জন্তু মোট বয় ধরা পড়েছে গাধা৤
সব ঝিনুকে মুক্তা নেই৤
সব ভালো যার শেষ ভালো৤
সব শিয়ালের এক রা৤
সব শেয়ালে কাঁটাল খেলে বকের মুখে আঠা৤
স্বদেশের ঠাকুর, বিদেশের কুকুর৤
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ৤
স্বনামা পুরুষো ধন্যঃ৤
স্বভাব যায় না ম’লে, ইল্লত যায় না ধুলে৤
স্বভাবে করে না অভাবে করে৤
স্বর্গ হতে পাওয়া৤
স্বর্গে তুলে দেওয়া৤
স্বর্গে দাসত্ব অপেক্ষা নরকে রাজত্ব ভাল৤
সবুরে মেওয়া ফলে৤
স্বল্পা বিদ্যা ভয়ংকরী৤
সবাই কৃষ্ণের নাম করে আমি বললেই মারে৤
সবাইকে পারা যায়, পায়ে পড়াকে পারা যায় না৤
স্বামী নাই, পুত্র নাই, কপালভরা সিঁদুর, ধান নাই, চাল নাই, গোলাভরা ইঁদুর৤ স্বামীর কিবা সুখ, পৌষমাসে ভাতের দুখ৤
স্বামীর মা শাশুড়ি, তারে বড় মানি, কোথা হতে এলেন আমার খুড় শাশ-ঠাকুরানী৤ স্রোতে ঘা ঢালা৤
সবে কলির সন্ধে৤
সবে ধন নীলমণি৤
সমুদ্রে পাতিয়া শয্যা শিশিরে কি ভয়?
সমুদ্রে পাদ্য অর্ঘ্য৤
সমুদ্রের জল বাড়েও না কমেও না৤
সম্পূর্ণকুম্ভো ন করোতি শব্দম্৤
সময় কারও হাতে ধরা নয়৤
সময়গুণে আপন পর, খোঁড়া গাধার ঘোড়ার দর৤
সময়ে না দেয় চাষ, তার দুঃখ বারোমাস৤
সময়ের এক কথা অসময়ে শত৤
সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়৤
সর্বঃ কান্তমাত্মীয়ং পশ্যতি৤
সর্বমত্যন্তগর্হিতম্৤
সৎসঙ্গে স্বর্গবাস অসৎসঙ্গে সর্বনাশ৤
সস্তার তিন অবস্থা৤
স-সে-মি-রা[চারটি সংস্কৃত শ্লোকের প্রথম অক্ষর]৤
সাজতে গুজতে দোল ফুরাল৤
সাত কুঁড়ের ঘর গোঁসাই রক্ষা কর৤
সাত কাণ্ড রামায়ণ পড়ে সীতা রামের পিসি৤
সাত খুন মাফ৤
সাত ঘাটের জল একঘাটে করা৤
সাত ঘাটের জল খাওয়া৤
সাত ঘাটের জল খাওয়ানো৤
সাত চড়ে মশা মারা৤
সাত চড়ে রা’ কাড়ে না৤
সাত নকলে আসল খাস্তা৤
সাত পাঁচ খতিয়ে মনে, চাষ করে না সোনার বেনে৤
সাত বার খেয়ে একাদশী৤
সাত মন তেলও পুড়বে না রাধাও নাচবে না৤
সাত রাজার ধন এক মানিক৤
সাত সতীনে ঘরকন্না, বাড়ির গিন্নি ভাত পান না৤
সাত সতীনে নড়ি চড়ি, বেড়া আগুনে পুড়ে মরি৤
সাত সমুদ্র তের নদী পার৤
সাঁতার দিয়া সিন্ধু পার৤
সাঁতার না জানলে বাপের পুকুরেও ডুবে মরে৤
সাতেও না পাঁচেও না৤
সাধ কত ছিল রে চিতে, মলের আগে চুটকি দিতে৤
সাধুনাং দর্শনং পুন্যম্৤
সাধলে জামাই কাঁটাল খান না, শেষে জামাই খোসা পান না৤
সাধলে জামাই খায় না কাঁঠাল, ভোতা[কাঁঠালের দণ্ড] নিয়ে টানাটানি৤
সাধে কি আর বাবা বলি গুঁতোর চোটে বাবা বলায়৤
সাধের কমল তুলতে গিয়ে হাতে ফুটল কাঁটা৤
সাধের কাজল পরতে গিয়ে চক্ষু হল কানা৤
সানাইয়ের পোঁ ধরা৤
সাপ ম’লেই সোজা৤
সাপ মারলে শিবের লাগে৤
সাপ যেখানে নেউল সেখানে৤
সাপ হয়ে দংশে ওঝা হয়ে ঝাড়ে৤
সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে৤
সাপকে দুধ খাওয়ালেও বিষ কমে না৤
সাপে ডরায় ব্যাঙাকে, ব্যাঙা ডরায় সাপকে৤
সাপের ছুঁচো গেলা৤
সাপের পাঁচ পা দেখেছ?
সাপের লেখা বাঘের দেখা৤
সাপের লেজে পা দেওয়া৤
সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে৤
সাবধানের মার নেই৤
সারা দিন থাকব নায়, কখন দিব খড়ম পায়?
সারা দিন বঁড়শি হাতে, সন্ধেবেলা আমড়া ভাতে৤
সারা দিন যায় হেসে খেলে, সন্ধেবেলা বৌ কাপাস(কার্পাস তুলো) ডলে৤
সিংহের বেটা শেয়াল হয় না৤
সিংহের ভাগ শেয়ালে খায়৤
সিধে আঙুলে ঘি ওঠে না৤
সিন্দুকের কাছে ধার করা৤
সিন্নি দেখে এগোয়, কোঁৎকা দেখে পিছোয়৤
সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর৤
সে কাল গেছে বয়ে, এঁটে কচু খেয়ে৤
সে গুড়ে বালি৤
সে বড় কঠিন ঠাঁই গুরু শিষ্যে দেখা নেই৤
সে রামও নাই, সে অযোধ্যাও নাই৤
সেই কড়ি ক্ষয় তবু বৌ সুন্দর নয়৤
সেই গাধা জল খায়, তারে ঘুলিয়ে ঘুলিয়ে নেয়৤
সেই তো মল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি?
সেই ধানে সেই চাল, গিন্নি বিনে আলথাল৤
সেই বুড়ি নাচে কত কাচা কাচে৤
সেকরা বাড়ির বিড়াল ঠুকঠুকুনিতে ভয় পায় না৤
সেকরার ঠুকঠাক কামারের এক ঘা৤
সেধে পেড়ে ভাব, আর মেজে ঘষে রূপ৤
সেধো ভাত খাবি, না হাত ধুয়ে বসে আছি৤
সেয়ানে ঠকলে বাপকেও বলে না৤
সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না৤
সোঁদর বনের বাঁদর রাজা৤
সোনা ফেলে আঁচলে গেরো৤
সোনা বলে জ্ঞান ছিল, কষিতে পিতল হল৤
সোনার উপর মিনের কাজ৤
সোনার ওজন কুঁচের সহিত৤
সোনার থালে ক্ষুদের জাউ৤
সোনার দাঁড়ে কাক বসানো৤
সোনার লঙ্কা ছারখার৤
সোমে বুধে ধানের গোলায় না দিও হাত, ধার করে খেও ভাত৤
সৌরভে ভ্রমর মজে৤


হংসমধ্যে বকো যথা৤
হাঁ কর তুমি, বত্রিশ নাড়ি গুনি আমি৤
হওয়া ভাতে কাঠি৤
হক কথা বলব, বন্ধু বেগড়ায় বেগড়াবে, পেট ভরে খাব, লক্ষ্মী ছাড়ে ছাড়বে৤ হক কথার মার নেই৤
হক কথাতে আহাম্মক রুষ্ট৤
হবু ছেলের অন্নপ্রশান৤
হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী৤
হয় না হয় বিয়ে, ঢাক বাজাও গিয়ে৤
হয় যদি তিলটা, কয় তবে তালটা৤
হয়কে নয়, নয়কে হয় করা৤
হ্যাঁপায় পড়ে ট্যাপা ভাসে স্রোতে৤
হরি ঘোষের গোয়াল৤
হরি বড় দয়াময়, কথায় বটে কাজে নয়৤
হরি বাঁচান প্রাণ বৈদ্যের বাড়ে মান৤
হরির খুড়ো মাধাই দাস(সম্পর্কহীন)৤
হরে দরে হাঁটু জল৤
হলুদ জব্দ শিলে, ঝি/বউ জব্দ কিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে৤
হলুদ গুঁড়ো, নুনের গুঁড়ো(সকল কাজে হস্তক্ষেপ করা লোক)৤
হা’ল ছেড়ে দেওয়া৤
হা’ল যদি ধরে ঠেসে, যায় কি তরী তুফানে ভেসে?
হা’লে পানি পায় না৤
হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না৤
হাগুন্তির লাজ নাই, দেখুন্তির লাজ৤
হাজার টাকা দিলেও কাটা কান জোড়া লাগে না৤
হাঁটবার আগে হামাগুড়ি৤
হাটে কলা নৈবেদ্যায় নমঃ৤
হাটে কি দর চাল, না মামার ভাতে আছি৤
হাটে গেল কার মা, দেখে এল বাঘের পা৤
হাটে হাঁড়ি ভাঙা৤
হাড় এক ঠাঁই মাস এক ঠাঁই করা৤
হাড় খাব মাস খাব, চাম দিয়ে ডুগডুগি বাজাব৤
হাঁড়ির ভাত একটা টিপলেই সবার খবর মেলে৤
হাড়ে ভেলকি খেলে৤
হাত ঝাড়লে পর্বত৤
হাত দিয়ে জল গলে না৤
হাতি কাদায় পড়লে চামচিকেও লাথি মারে৤
হাতি পড়লে আড়ে চামচিকেতেও লাথি মারে৤
হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল?
হাতি চড়ে ভিক্ষে মাঙি, ইচ্ছেয় না দাও ঘর ভাঙি৤
হাতি দিয়ে হাতি ধরা৤
হাতি পড়েছে দকে, ঠোকর দিচ্ছে বকে৤
হাতি পাঁকে পড়লে হাতিই উদ্ধার করে৤
হাতি মলে’ও ঘোড়ার দুনো৤
হাতির কাঁধে আসে যায়, হাম্বারবে মুচ্ছো যায়৤
হাতির দম্ভ চূর্ণ হয় পাহাড়ের কাছে৤
হাতে কড়ি পায়ে বল, তবে যাই নীলাচল৤
হাতে কালি মুখে কালি বাছা আমার লিখে এলি?
হাতে দই পাতে দই, তবু বলে কই কই?
হাতে না মেরে ভাতে মারা৤
হাতে নেই কানাকড়ি, করে বেড়ায় বাড়াবাড়ি৤
হাতে পাঁজি মঙ্গলবার৤
হাতে মাথা কাটা৤
হাতে যদি নাই ধন, পাঁচে হও এক মন৤
হাতে যদি ফল পাই, তবে কি আঁকশি চাই৤
হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না৤
হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা৤
হাতের শাঁখা দর্পণে দেখা৤
হাতেরও যাবে পাতেরও যাবে৤
হাভেতে যবে ফকির হল, দেশেও মন্বন্তর এল৤
হাভেতের দুনো গ্রাস৤
হায় রে আমড়া, কেবল আঁটি আর চামড়া৤
হারিয়ে তারিয়ে কাশ্যপ গোত্র৤
হারিলে ঘরের ভাত, জিতিলেও তাই৤
হালে বয় না, তেড়ে গুঁতোয়৤
হিঁদু যদি মুসলমান হয়, মুরগি খেতে কম নয়৤
হিঁদু মোছলমান হলে গরু খায় গিলে গিলে৤
হিসেবের গরু বাঘে খায় না৤
হেলায় কর্ম নষ্ট, বুদ্ধি নষ্ট নির্ধনে, যাচনে মান নষ্ট, ভোজন নষ্ট দই বিনে৤
হেলে ধরতে পারে না কেউটে ধরতে যায়৤
হেলে যায় চষতে, বামুন যায় বসতে৤
হেলে যায় হাল নিয়ে, বিধাতা যায় তুল[তুলাদণ্ড] নিয়ে৤
হেসে হেসে কথা কয় সে হাসি তো ভালো নয়৤