Tuesday, August 22, 2017

"এক নজরে নায়করাজ রাজ্জাক"

নামঃ আবদুর রাজ্জাক!
উপাধিঃ নায়করাজ (উপাধি দিয়েছিলেন চিত্রালী সম্পাদক আহমেদ জামান চৌধুরী)
জন্মঃ ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৪২ ইং!
জন্মস্থানঃ নাকতলা, দক্ষিণ কলকাতা, ভারত!
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশি!
বাবাঃ মৃত আকবর হোসেন!
মাতাঃ মৃত নিসারুননেছা!
স্ত্রীঃ খাইরুন্নেছা (ভালোবেসে লক্ষ্মী বলে ডাকতেন)
সন্তানঃ বাপ্পারাজ (রেজাউল করিম), নাসরিন পাশা শম্পা, রওশন হোসেন বাপ্পি, আফরিন আলম ময়না, খালিদ হোসেইন সম্রাট!
পেশাঃ অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক!
অভিনয়ের শুরুঃ কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন সরস্বতী পূজায় মঞ্চনাটকে। গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে, প্রথম অভিনীত নাটক ‘বিদ্রোহী'!
সিনেমায় প্রবেশঃ কলেজজীবনে ‘রতন লাল বাঙালি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। এ ছাড়া কলকাতায় ‘পঙ্কতিলক’ ও ‘শিলালিপি’ নামে আরও দু’টি সিনেমায় অভিনয় করেন!
বাংলাদেশে আগমনঃ ১৯৬৪ সালে কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন!
ঢালিউডে নায়ক হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্রঃ জহির রায়হানের ‘বেহুলা’!
প্রথম নায়িকাঃ সুচন্দা!
নায়ক হিসেবে শেষ ছবিঃ ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন, শেষ ছবি ‘মালামতি’! শেষ ছবির নায়িকাঃ নায়িকা ছিলেন নূতন!

পুরস্কার প্রাপ্তিঃ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে, (১৯৭৬-কি যে করি) (১৯৭৮-অশিক্ষিত) (১৯৮২-বড়ো ভালো লোক ছিলো) (১৯৮৪-চন্দ্রনাথ) ও (১৯৮৮-যোগাযোগ) সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন, ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়, এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন!

প্রযোজনা সংস্থা রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে যেসব ছবি তিনি নির্মাণ করেনঃ আকাঙ্ক্ষা, অনন্ত প্রেম, পাগলা রাজা, বেঈমান, আপনজন, মৌ চোর, বদনাম, সত্ ভাই, চাঁপা ডাঙ্গার বৌ, জীনের বাদশা, ঢাকা-৮৬, বাবা কেন চাকর, মরণ নিয়ে খেলা, সন্তান যখন শত্রু, আমি বাঁচতে চাই, কোটি টাকার ফকির প্রভৃতি!

রাজ্জাক সাহেবের অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রঃ
'স্লোগান', 'আমার জন্মভূমি', 'অতিথি', 'কে তুমি', 'স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা', 'প্রিয়তমা', 'পলাতক', 'ঝড়ের পাখি', 'খেলাঘর', 'চোখের জলে', 'আলোর মিছিল', 'অবাক পৃথিবী', 'ভাইবোন', 'বাঁদী থেকে বেগম', 'সাধু শয়তান', 'অনেক প্রেম অনেক জ্বালা', 'মায়ার বাঁধন', 'গুণ্ডা', 'আগুন', 'মতিমহল', 'অমর প্রেম', 'যাদুর বাঁশী', 'অগ্নিশিখা', 'বন্ধু', 'কাপুরুষ', 'অশিক্ষিত', 'সখি তুমি কার', 'নাগিন', 'আনারকলি', 'লাইলী মজনু', 'লালু ভুলু', 'স্বাক্ষর', 'দেবর ভাবী', 'রাম রহিম জন', 'আদরের বোন', 'দরবার', 'সতীনের সংসার', 'অন্ধ বিশ্বাস', 'জজ সাহেব', 'বাবা কেন চাকর', 'পৃথিবী তোমার আমার', 'বাবা কেন আসামি', 'এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নাচের পুতুল’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘আবির্ভাব’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘রংবাজ’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শুভদা’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, 'সোহাগ', 'সানাই', 'ছূটির ঘন্টা', 'অবুঝ মন', 'অনন্ত প্রেম', 'গাদ্দার', 'দুই পয়সার আলতা', 'সন্তান যখন শত্রু', 'বড়ো ভালো লোক ছিলো', 'সন্ধি' 'জন্মদাতা', 'পাগলা রাজা' 'যোগাযোগ' ইত্যাদি!

মূত্যুঃ ২১-আগষ্ট ২০১৭ ইং!

শিখতে চাইলে অনুস্বরণ করুন

একদিন সংখ্যা ৯, ৮- কে জোরে এক থাপ্পড় মারল।
তখন কাঁদতে কাঁদতে ৮ জিজ্ঞাসা করলো, আমাকে মারলে কেন ?

৯ বলল, আমি বড় তাই আমার অধিকার আছে মারার।
এ কথা শুনে ৮, ৭- কে জোরে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিল।

৭ যখন ওকে মারার কারণ জানতে চাইলে ৮ ও বলল, আমি বড় তাই মেরেছি!

একই অজুহাত দেখিয়ে, এরপর ৭, ৬-কে;
৬, ৫-কে;
৫, ৪-কে;
৪, ৩-কে;
৩, ২-কে;  আর ২, ১-কে মারল!

হিসাব মত ১-এর শূন্য(০)কে মারা উচিত...

কিন্তু "১" মারা তো দূরের কথা,শূন্যকে কছে নিয়ে বললো, তুই আমার ছোটভাই সবসময়ে আমার পিছে থাকবি, কারণ তোকে যেন কেহই আঘাত করতে না পারে। তখন থেকে ১ আর শূণ্য(০) মিলে ১০(দশ) হয়ে
গেলো। সব সংখ্যাই সন্মান করা শুরু করলো।

লক্ষনীয়:

ছোট ছোট কারনে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া, লড়াই না করে, ব্যক্তিগত অহঙ্কার দূরে সরিয়ে, আমরা যদি একে অন্যের হাতটা ধরতে পারি, আমাদের শক্তি বহু গুণ বেড়ে যায়।

(সংগৃহীত)

Monday, August 7, 2017

উন্নয়নের চাক্কা - না ধুইলেই বরং ক্ষতি

কনস্ট্রাকশন সাইটটির চারপাশে উঁচু বেড়া দিয়ে ঘেরা। শুধু গেটটা একটু খুলেছে। সেখান দিয়ে একটা বিরাট ট্রাকের সামনের দিকটা দেখা যাচ্ছে, ট্রাকটা বের না হয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। আমি সামনের ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় গেট এবং ট্রাকের মাঝের ফাঁক দিয়ে দেখতে পেলাম ভেতরে মাথায় সেফটি হ্যাট আর পায়ে গামবুট পরা একজন কর্মী এক হাতে একটা বড় ব্রাশ নিয়ে ট্রাকের চাকা ঘষে দিচ্ছে আর আরেক হাতে একটা পানির হোস পাইপ দিয়ে পানি দিয়ে চাকার সেই ময়লা ধুয়ে দিচ্ছে। সাথে সাথে সামনের রাস্তাটা আরেকবার ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম -- সেটা ঝকঝকে তকতকে পরিষ্কার; কোথাও কোনো কাদা লেপ্টে নাই; কোথাও কোনোে শুকনা ধুলা নাই যে উড়ে এসে ফুসফুসের বারটা বাজাবে, কিংবা উড়ে এসে চলমান মেশিনারীর ক্ষয় বৃদ্ধি করবে।

এই প্রায় এক যুগ আগে জাপানের ওসাকা শহরে দেখা এই দৃশ্যটা আমার জন্য একটা কালচারাল শক্ ছিল। পরিবেশের প্রতি ভালবাসা থেকে হোক, কিংবা চাপে পড়েই হোক, এই কাজটুকুর উপকারী প্রভাব অসাধারণ। কিন্তুু সেই তুলনায় খরচ কতটুকু?

একেকটা ট্রাকে গড়ে ৫ মিনিট সময়, একজন অতিরিক্ত কর্মী, পানি এবং ড্রেনেজের ব্যবস্থা -- এই হল খরচ। লাভ হল: রাস্তার আয়ু বৃদ্ধি পেল + বায়ু দূষণ জনিত অসুস্থতার চিকিৎসা খরচ লাগলো না + আশেপাশের লোকজন সু্স্থ থাকাতে উৎপাদনশীলতা কমে গেল না + ধুলামুক্ত বাতাসে যন্ত্রপাতির ক্ষয় কম হল + ধুলা কম বলে যন্ত্রপাতি ও অফিস রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম লাগলো + কোম্পানির সুনাম বা গুডউইল বৃদ্ধি পেল + এলাকার সৌন্দর্য্য মূল্য হ্রাস পেল না
(সৌন্দর্য্য মূল্য: কর্দমাক্ত রাস্তার পাশের দোকান বা অফিস এড়িয়ে চলে মানুষ; ভাড়া নিতে হলে ঐ এলাকার স্থাপনা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকবে; ফলে ভাড়া বা জমির মূল্য কমে যাবে -- এগুলোর অর্থনৈতীক ক্ষতি পরিমাপ করা অসম্ভব নয়)।

শুধুমাত্র সুনাম (গুডউইল) তৈরীতে বিজ্ঞাপন, সমাজসেবা ইত্যাদির পেছনে একটা কোম্পানির যে খরচ হয়, তার চেয়ে অনেক কম খরচে এই কাজটা করা সম্ভব। এই কাজটার প্রচারই তাদের সুনাম বৃদ্ধি করবে অনেক বেশি। কাজেই আপাত দৃষ্টিতে প্রজেক্ট খরচ বাড়ছে মনে হলেও আসলে এতে সত্যিকার ভাবে কোনো কোম্পানির খরচ বাড়বে না। বরং সুনাম বাড়ানোর প্রচেষ্টায় তাদের সাশ্রয় হবে আরও বেশি।