Wednesday, November 22, 2017

আমি শিক্ষিত গাধা বলছি......

আমি শিক্ষিত গাধা বলছি......
একবার ভেবে দেখছেন কি?
আপনার বাসায় রাখা টিউশন মাস্টারের বেতন টা যে আপনি ১৫ তারিখের পরে দেন,তাতে সে কি করে চলে?

মাসে ১০০০/২০০০ই বা দেন তারে বেতন!কিন্তু বিনিময়ে?
দৈনিক দেড়ঘন্টা গাধার মতো খাটান,আপনার বাচ্চারা তাকে নিয়ে তার গ্রাম্যতার সুযোগ নিয়ে খোঁচা মারে...

কি অদ্ভুত?
তাই না?

ভেবে দেখেছেন কি? ঈদ কোরবানি কোনটায় তারে বোনাস দিয়েছেন কি না?
বরঞ্চ ঈদে ছূটি কাটাইলে বিনিময়ে ছুটির কয়দিনের বেতন ও দিতে চান না!
বছর শেষে কোথায় তারে অগ্রিম বেতন/ বোনাস দিবেন,বরঞ্চ বছর শেষে আপনার কাছে তার টাকা পাওনা থাকে!!!!! আপনারা লাঞ্চে ৫হাজার খরচ করেন অথচ ঐ ছেলেটার বেতনের বেলায় সব সমস্যা দেখা দেয়....

কবে শেষ হবে আপনাদের সমস্যা?
কবে?

দোষ আপনাদের না,দোষ অবশ্য আমাদের কপালের!
আপনাদের মতো পরিবারে জন্ম নিলে আমাদের আর এমন কস্ট টা পাইতে হতো না!!
জয় হোক আপনাদের!!
জয় হোক টাকা পয়সার!!
ধ্বংস হোক শিক্ষক সমাজ!!

(সংগ্রহ)


Wednesday, November 15, 2017

সিডরে যা দেখেছি....!

সারা দিন ধরে বৈরি আবহাওয়া। সকালেই সব খবরের কাগজে দেখলাম দশ নম্বর মহা বিপদ সংকেতের খবর। লাল অক্ষরে প্রধান শিরোনাম করা হয়েছিল সেদিন। পরিবেশ জুড়ে কেমন একটা গুমোট ভাব। আব্বা, আম্মা আর বড় মামা গেলেন চরখালীতে চোখের ডাক্তারের কাছে। সাথে আমিও ছিলাম। সেখানে একটি চক্ষু শিবিরে বিদেশি ডাক্তার এসেছেন। তাই দল বেঁধে যাওয়া। বিকাল বেলা চরখালি ফেরি পার হতে গিয়ে একটু ঘাবড়ে গেলাম। আবহাওয়া খুব খারাপ হয়ে আসছে। বাড়িতে বড় বোন একা। তারিঘরি করে বাড়িতে ফিরলাম। গোয়াল ঘরে গাভীটি একটি বাছুর প্রসব করেছে। সবাই গরু নিয়ে ব্যস্ত। ঠান্ডা পড়েছে বেশ। তাই সুপারির পাতায় আগুন ধরিয়ে সেক দেয়া হচ্ছে বাচুরটিকে। সন্ধ্যা হয়ে গেল। ঘরের সবার মধ্যে কেমন একটা উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। ধীরে ধীরে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে লাগল। রাত তখন প্রায় ১০ বাজে। হঠাৎ করে চারদিক থেকে ঝড় শুরু হল। উঠান তলিয়ে গেল পানিতে। সবাই ছোটা ছুটি শুরু করল। আমরাও বাড়ির পাশের শূন্য খাদ্যগুমের দিকে ছুটলাম। বলেশ্বর তীরের চাড়াখালী গুচ্ছগ্রামের ত্রিশটি পরিবার তারাও যে যার মত করে হাজির হয়েছে এই গুদামে। তুলনা মূলক উঁচু ছিল এই দালানটি। তাই এটাই প্রাণ বাঁচানোর শ্রেষ্ঠ স্থান এখন। আসপাশের বাড়ি গুলো থেকেও সবাই এখানেই ছুটে আসছে। ধীরে ধীরে পানি আরও বাড়তে থাকল। বাতাশের গতি তখন বেড়েই চলছে। চারদিকের বড় বড় গাছ গুলো উপড়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে এ্যারাবিয়ান নাইটস এর সিন্দাবাদ দেখছি। গাছ গুলো যেন কোন দানব উপড়ে ফেলছে নিমিশেই। এখানে আশ্রিত সবাই যে যার আপন জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। জোড়ে জোড়ে নাম ধরে চিৎকার করছে। আমার হাতে একটা চার্জার লাইট। আমি সবাইকে এখানে আসতে সহযোগিতা করছি। এরই মধ্যে নজরুল খানকে দেখলাম পানি মধ্যে সাতার কাটছে। আর চিৎকার করছে। সে তার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছে না। হঠাৎ দূর থেকে দেখলাম আমাদের বসত ঘরের উপর বড় একটি গাছ উপড়ে পড়ছে। ঘরটি দুই ভাগ হয়ে গেল গাছ চাপা পড়ে। ঝড় থামল। পানি তখনও নেমে যায়নি। কোমড় সমান পানি হবে। সে পানির মধ্য থেকেই ঘরে ফিরলাম। ঘরে গিয়ে দেখি সব কিছু লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। ফ্রিজটা পানির মধ্যে গরাগরি খাচ্ছে। আমার বই পত্র সব ভেসে গেছে। গরুর বাছুরটি মরে ভাসতে ছিল পানিতে। বুক ফেটে কান্না চলে এলো। সারা রাত আর ঘুমাতে পারলাম না। ঘরের সব কিছুই তছনছ হয়ে গেছে। সারা রাত জেগে রইলাম। খুব ভোরে অনেক কষ্ট করে রাস্তায় বের হলাম। সব রাস্তা ঘাট গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে রইল। কোন মতে রাস্তায় বের হয়ে যা দেখলাম তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। চাড়াখালী গুচ্ছগ্রামটি মাটির সাথে মিলিয়ে গেছে। সব মানুষগুলো রাস্তায়। কারও কিচ্ছু নেই। সর্বহারা মানুষগুলো বিবর্ন মুখ নিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। খবর পেলাম বালিপাড়ায় অনেক মানুষ মারা গেছে। নিখোঁজ হয়েছে অনেক। ওই দিন আমাদের এলাকার সব মানুষই ভাত না খেয়ে ছিল। কেউ হয়তো সামান্য চিড়া মুড়ি দিয়ে দিন পার করেছে। বিভিন্ন জায়গায় ধান ক্ষেতে লাশ পাওয়া যেতে লাগল। লাশ মিলল নদীর তীরে। গাছের ডালে। এলাকা জুড়ে শোকের মাতম। শুধু মানুষের লাশই নয়। গবাদিপশুর লাশে ভেসে বেড়াতে শুরু করল নদী ও খালে। রাস্তা ঘাট, বেড়ি বাঁধ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভেঙ্গে গেল। বিলিন হয়ে গেল ৩০ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ। এমন দূর্যোগ আমি আর কখনও দেখিনি। আর দেখতেও চাই না। আগামীটা সুন্দর হোক। সুখে থাকুক আমার উপকুল বাসীন্দারা।
#Courtesy_Ahad_Shimul



বাংলাদেশের নিজস্ব ডোমেইন এক্সটেনশন এর বর্তমান অবস্থা !


২০১৬ সালে আইসিএএনএন বাংলাদেশের জন্যে 'ডট বংলা' ডোমেইন এক্সটেনশন বরাদ্ধ দেয় । 
বিটিসিএল এর তথ্য মতে , (.bangla) এর তুলনায় (.bd) অধিক জনপ্রিয় । 
২০১৫ সালে (.com.bd)ডোমেইন এর ১৭ হাজার ২২৩ টা ব্যবহারকারী ছিল । 
২০১৬ সালে ছিল ৩৫ হাজার ৪৪৭ এবং বর্তমানে ৪০ হাজার ডোমেইন নিবন্ধিত এই (.com.bd) এক্সটেনশনে । 
ডট এডু ডট বিডি এর মাঝে সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক নিবন্ধন করা হয়েছে । 
এর পরে (.com.bd) এবং (.org.bd) ।